২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম বিএসসির নীট মুনাফা ২০০ কোটি টাকা ছাড়ায়। এ বছর নীট মুনাফা হয় ২২৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড ২৪৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা মুনাফা করেছে রাষ্ট্রীয় এই জাহাজ কোম্পানি। তাই শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হয়। যেখানে গেল বছর দেয়া হয়েছিল ২০ শতাংশ লভ্যাংশ।
টানা মুনাফার ধারা বজায় থাকায় এবার বিএসসির ৪৬৩ম বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচ তারকা রেডিসন হোটেলে।
সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নতুন জাহাজ কেনাসহ সরকারের নানা পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএসসি। বিশ্বমানের শিপিং সংস্থায় রূপান্তরে আগামী কয়েক বছরে আরো ২১টি জাহাজ কেনা হবে।
এরইমধ্যে চীন থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি জাহাজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়লে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশও আরো বাড়বে।
সভায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. জিয়াউল হক নতুন সুখবর দিয়ে বলেন, বিএসসির সক্ষমতা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান একটি কোম্পানি ৩৩ হাজার কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই অর্থে কেনা হবে কার্বনমুক্ত অত্যাধুনিক ১২টি কনটেইনার জাহাজ। দেশের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিপিসির ক্রুড অয়েল এবং সরকারি খাদ্যশস্য পরিবহনে মিশ্র জাহাজের বহর তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া জাহাজ নির্মাণ, মেরামত ও ডকিংয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও বলেন এমডি।
সাধারণ সভায় জানানো হয়, বর্তমানে বিএসসির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। আর দেনার পরিমাণ ২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের পরামর্শ ও প্রস্তাব আমলে নিয়ে আগামীতে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেও আশ্বস্ত করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
এক যুগ আগেও লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল জাতীয় পতাকাবাহী শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। নব্বইয়ের দশকে বহরে সর্বোচ্চ ৩৮টি জাহাজ থাকলেও বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রমশ বহর ছোট হয়ে আসে।