আজ (রোববার, ২৪ আগস্ট) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। এছাড়াও খুচরা বাজারেও সরবরাহ রয়েছে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের। কিন্তু দামে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, মাত্র ৪ থেকে ৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে সব পেঁয়াজের দাম।
আমদানিকৃত ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। আর দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, ‘সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলাম। হঠাৎ করে আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি নতুন করে আইপি না দেওয়ায় আমদানি বন্ধ। আগে অনুমতি পাওয়া দুই এক ট্রাক পেঁয়াজ আসছে কিন্তু তা দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব না যার কারণে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ করে দিবে সরকার। এতে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
হিলি স্থলবন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, ‘আমদানি শুরুর সাথে সাথে দাম কমতে শুরে করেছিল। দাম কম হলে ব্যবসা করতে আমাদেরও ভালো হয়। আমদানি বন্ধের কারণে দামও বেড়েছে অনেক। ৪৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকা আবার দেশি পেঁয়াজ তো এক লাফে ৬৫ টাকা থেকে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরে উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশকিছু আমদানিকারকদের পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তবে ১৯ তারিখের পর নতুন করে পেঁয়াজের আর আইপি ইস্যু হয়নি।’
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, আমদানি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ৭০ ট্রাকে ২ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।