আজ বেলা ১২ টায় চারুকলা অনুষদে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। উদ্বোধন শেষে গ্যালারি পরিদর্শন করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘আসল মানুষের পরিচয়ের কথা আসলে সেখানে শিল্প,সাহিত্য, নাট্যকলা,কাব্য এগুলোর অসীম গুরুত্ব আছে। এগুলোই আমাদেরকে মানুষ করে। এ অনুষদের কার্যক্রম ইউনিক বিষয়। রঙ, তুলির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে তুলে ধরতে পারে এটা সত্যি অসাধারণ। আগামীতে চারুকলায় একটি আর্ট গ্যালারি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের এ আয়োজন ঘিরে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। সেই পরিশ্রমের ফল এ চিত্রকর্ম। দেশের লোকজ ঐতিহ্য, আন্দোলন সংগ্রাম, সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ এ প্রদর্শনীতে এসেছে। এসব শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক নির্মাণে বৈচিত্র্যময়তা লক্ষণীয়। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষের জীবন-জীবিকা, ভালোবাসা, আনন্দ-বেদনা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি লোকজ ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে শিল্পকর্মগুলোতে নান্দনিকতার এক অপূর্ব সম্মিলন ঘটিয়েছে।
প্রদর্শনীতে ড্রইং, স্কেচ, জলরঙ, তেলরঙ, অ্যাক্রেলিক, মিনিয়েচার, ক্যালিগ্রাফি, উডকাট, অ্যাচিং, অ্যাকুয়াটিন্ট, প্লেটোগ্রাফি ইত্যাদি নানা মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করতে প্রদর্শনীতে ৪২টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারগুলো কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার (সকল মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ), ৩টি মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, শ্রেণি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, নিরীক্ষাধর্মী শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও স্মৃতি পুরস্কার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. বনি আদম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান এবং চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী এসময় উপস্থিত ছিলেন।