সকালে রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান।
দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ। এসময় কেক কেটে ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ জামশেদ আলম পাটোয়ারী, ম্যানেজমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জুনাইদ কবির, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবু তালেব, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সহকারী অধ্যাপক জিএম সেলিম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রাবিপ্রবিকে সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ের তোলার অঙ্গীকার করেন উপাচার্য ড. আতিয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১০টা বছর পার করে এসেছি। ফিরে দেখছি যে, ১০ বছরে আমরা কতটা উন্নতি করলাম, কী করবার কথা ছিল, কোথায় যাবার কথা ছিল, কতটা আমরা পথ পাড়ি দিয়েছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা কী ছিল, ত্রুটি কী ছিল। তা দূর করবার জন্য সামনে কী করা প্রয়োজন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা দেখেছি এরমধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক ঘটনা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট। সে কারণে এবারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্লোগান ঠিক করেছি ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অঙ্গীকার, সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আমার অধিকার’’।’
পরে ফুড ফেস্টিভ্যাল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসের সমাপনী হয়। ২০০১ সালের ১ জুলাই রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর চরম বিরোধিতায় পিছিয়ে পড়ে কার্যক্রম। পরে ২০১৪ সালে বাড়ি ভাড়া করে একাডেমিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু করেন কর্তৃপক্ষ।