আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ এবং ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় ২১ সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিকেল তিনটার পর থেকেই উপস্থিত হতে শুরু করেন দলগুলোর নেতারা। আলোচনার শুরুতে উপাচার্য জানান, হল রাজনীতি ও ডাকসুর পরিবেশ নিয়ে ঐক্যমত্যে আসতেই মূল আলোচনা।
শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তবে মাত্র দশ মিনিটের মাথায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে সভা বর্জন করতে থাকে বাম সংগঠনের নেতারা। জবাব দেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে অপরাধীকরণে জড়িত দলগুলোই এখন ষড়যন্ত্র করছে।’ একই সঙ্গে, ইমেইলে হলের খসড়া রাজনৈতিক কাঠামো পাঠিয়ে মতামত নেয়ার প্রস্তাবের কথাও জানান তিনি।
কথা বলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব। জানান, অপরাজনীতি বন্ধে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীর আবেগকে সম্মান করেই রাজনীতি চান তারা।
আবারো গণমাধ্যমের সামনে আসেন উপাচার্য। জানান, আবাসিক হলে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্যই আলোচনা চলবে। সভা বর্জনকে তিনি গেল সরকার আমলের নেতিবাচক আবেগের ফল বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে খোদ শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।