এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্র হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, ভোটার তালিকায় ছবি সংযোজন এবং মনোনয়ন বিতরণের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনের তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নতুন তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। মূলত নির্বাচন স্বচ্ছ ও ডোপ টেস্ট, ছবিসহ ভোটার তালিকা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বিতরণ চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র দাখিল ৪ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ ১১ সেপ্টেম্বর, প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোট গ্রহণ (একাডেমিক ভবনে), ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা ২৮ সেপ্টেম্বর।
নির্বাচনের তারিখ পেছানোয় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, রাকসুকে নিয়ে আমাদের যে উচ্ছ্বাস, তা থামিয়ে দেওয়ার পায়তারা চলছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের যে আস্থা ছিল তা কমে গেলো।আমরা শঙ্কা করছি নির্বাচন আদৌও হবে কিনা। শুধুমাত্র একটি ছাত্র সংগঠনের দাবির মুখে হয়তো তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই তার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত নিবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচন পেছানো সহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন ছাত্রসংগঠনগুলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১ জন।গত তিন দিনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৫০ জন প্রার্থী।
রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে ১৬৮ জন, সিনেটের ৫টি পদের বিপরীতে ১৯ জন এবং ১৭টি হল সংসদের বিভিন্ন পদে ৩৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন তুলেছেন। এর আগে গত দুইদিনে মনোনয়ন নেন ২৩ জন প্রার্থী।