সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে গতকাল (রোববার, ৩১ আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে শুরু হয় শিক্ষক অ্যাকাডেমি কাউন্সিলের বৈঠক। পরে বৈঠক শেষে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কম্বাইন্ড ডিগ্রিসহ তিনটি ডিগ্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষকরা।
এসময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। এতে আটকা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ২২৭ জন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীরা জানান, হাজবেন্ড্রি ও ভেটেরিনারি দ্বন্দ্বের কারণে জব সেক্টর ক্রিয়েট হচ্ছে না। এখানে কে যাবে? হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েট নাকি ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েট? সবার স্বার্থে একটাই ডিগ্রিই চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস। প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আড়াইশো শিক্ষক অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ভবন থেকে বের হয়ে যান।
আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের উস্কানিতে বহিরাগত এনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। মেয়েদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কেন এমন করা হলো এরা জবাব ও বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘রাত ৮টা পর্যন্ত আমাদের কোনোভাবেই ছাত্ররা কাউকে বের হতে দিলো না। আমাদের অসুস্থ কলিগ আছে, প্রেগনেন্ট মহিলা আছে কাউকেই বের হতে দিলো না। ফ্যাসিস্টরা এর পেছনে আছে যারা কয়দিন আগেই বিতাড়িত হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে মিলে এ অরাজকতা করা হয়েছে।’
এদিকে, সিন্ডিকেট সভায়, চলমান পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’