গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়ে গতকাল (রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রথম আন্তর্জাতিক রিসার্চ সম্মেলনের সমাপ্ত হয়।
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘অ্যাডভান্সিং নলেজ অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাক্রোস ডিসিপ্লিন অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশন’। গবেষণাকে কেবল অ্যাকাডেমিক অর্জনে সীমাবদ্ধ না রেখে সামাজিক উন্নয়ন, জাতীয় অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়েই এ আয়োজন বলে জানান তারা।
এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলো ৬০০ জন গবেষক, ৫০০ জন নিবন্ধিত দর্শনার্থী এবং ১০০ জন সংগঠক। পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের ২০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নেন। এতে আয়োজনটি আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠে।
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনের জন্য জমা পড়েছিল এক হাজার ৬০০ এরও বেশি গবেষণা অ্যাবস্ট্রাক্ট। এর মধ্যে কঠোর রিভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩৮০টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষক নিয়ে গঠিত সাইন্টিফিক কমিটি এ রিভিউ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি বিশেষ প্যানেল ডিসকাশন— ‘শিপিং দ্যা ফিউচার: রিসার্চ ফর অল সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশন ইন ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল কনটেক্সট’। এতে অংশ নেন বিইউইটির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ তারিক আরাফাত, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারের ড. মো. জহুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. নাসির উদ্দিন।
সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বাংলাদেশের গণিত অলিম্পিয়াড ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অগ্রদূত হিসেবেও সুপরিচিত। তার অভিজ্ঞতা তরুণ গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠে।
আরও পড়ুন:
দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিলো ২৫০টি ওরাল প্রেজেন্টেশন, ১০০টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং ৩০টি থ্রি-মিনিট থিসিস প্রেজেন্টেশন। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় বিশেষ ওয়ার্কশপ, যেখানে আধুনিক গবেষণা কৌশল, অ্যাকাডেমিক লেখালেখি ও গবেষণার ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং বিষয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রোজমেরি এভান্স।
বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়, যা একে অ্যাকাডেমিক গবেষণার পাশাপাশি শিল্প ও গবেষণার সেতুবন্ধন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সম্মেলনের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দিন খানসহ আরইউইসির উপদেষ্টা ফুয়াদ পাবলো উপস্থিত ছিলেন।
