দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের পর আগরতলা-শিলিগুড়িতেও ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার
দেশে এখন
0

ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কনস্যুলার সেবা ও ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। হাইকমিশনের গেটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ টানিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দিল্লির পাশাপাশি ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার থেকেও ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে টানিয়ে দেয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত নোটিশ। আজ (সোমবার, ২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা বা প্রেসনোট দেয়নি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে হাইকমিশনের সামনে ও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও উদ্ভুত পরিস্থিতির পর বাংলাদেশের হাইকমিশন, উপ-দূতাবাস ও ভিসা সেন্টারগুলোয় নিরাপত্তা ইস্যু প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দিল্লি হাইকমিশনে ভিসা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ |ছবি: সংগৃহীত

এমনকি হাইকমিশন বা দূতাবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনায় ভারত সরকারের দিক থেকে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামে একজনকে ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ’ তুলে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন সংগঠন।

বিশেষ করে আসামে ও কলকাতায় বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিক্ষোভ করেছে। আজ কলকাতায় উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা, ভাংচুর হয়েছে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারেও।

আরও পড়ুন:

দেশটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (বিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের পর সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এছাড়া আসামের ৫০টিরও বেশি জায়গায় ওই একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ‘বাঙালি পরিষদ, আসাম’। এর আগে শনিবার রাতে ভারতের দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা বেস্টনি ভেদ করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে 'হিন্দু চরমপন্থীদের' একটি দল।

যদিও এটি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর এ প্রচারকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। পরে সেই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

এসএস