সাদিক কায়েম বলেন, ‘ডাকসুকে বানচালের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাকসু জুলাই শহীদদের আকাঙ্ক্ষা, যারা বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের রুখে দেয়া হবে। ডাকসু বানচালের জন্য একটা পক্ষ কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতা করার চেষ্টা করবে তাদের অবস্থা হাসিনার মতো হবে। এখানে পরাজয়ের কিছু নয়, শিক্ষার্থীরা যাদের রায় দিবে তাদের মেনে নিবো। সবাইকে নির্বাচন মেনে নেয়ার আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে এ ডাকসু। ফলাফল দেয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ ও অন্য প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে প্রশাসন। তাদের সকাল ৮টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিলেও আমাদের কাউকে দেয়নি। ডাকসু কোন নাটকের মঞ্চ নয়। নিজেদের কারচুপি ঢাকতে রোকেয়া হলের বুথে ছাত্রদল নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
আরও পড়ুন:
এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সিসিটিভি যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিকেও ইউল্যাব কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি। হাসিনাকে দিল্লিকে পাঠানোর পর কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিএসসির ভোট কেন্দ্রের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে ছাত্রদল স্লাটশেইমিং করছে। ছাত্রদল নেতার শিক্ষকদের সামনে টেবিল চাপড়ে কথা বলা ছাত্রলীগের সময় দেখেছি। নির্বাচন পেছাতে না পেরে নতুন করে বানচালের চেষ্টা হচ্ছে।’
ক্যাম্পাসের আশেপাশে ভীতিকর পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের আশেপাশে ছাত্রদল লোক জড়ো করে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কারও হুমকি ভয় পায় না। ছাত্রদলকে ছাত্রলীগ না হবার অনুরোধ, ছাত্রলীগ হতে চাইলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে। ছাত্রদলসহ সব সংগঠনকে অনুরোধ করছি ডাকসু দিয়ে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করার।’