অনিয়মের অভিযোগ-বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

ভোট দিতে গিয়েছেন একজন শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
0

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ চলেছে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

এবার জাকসু নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রশিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থিদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেলসহ মোট আটটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

এতে মোট প্রার্থী ছিল ১৭৮ জন। জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ২১টি হলকে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছিল। এসব কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছিল ২২৪টি বুথ।

ভোট গ্রহণের মধ্যে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জাকসু নির্বাচনে ‘নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির’ অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।

আরও পড়ুন:

ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করে বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তালিকায় ভোটারদের ছবি নেই, ২১ নম্বর হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’

এছাড়া ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভোট বর্জনের ঘোষণার পরপরই বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষকও নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ তিন শিক্ষকের দুজন নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তারা হলেন— অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, নজরুল ইসলাম ও নাহরিন খান।

এসএস