করোনাভাইরাস মহামারির সময় কুমিল্লায় সাড়ে চার হাজার রোগী আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রাণ হারান ১ হাজার ৮০০ জন। এরপরও নতুন করে কোনো প্রস্তুতি নেই স্বাস্থ্যখাতে। ইআরপিপি প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এখন নতুন করে প্রকল্প না হলে এই ইউনিটগুলো সচল রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ ডা. মো. আবদুল মোক্তাদির বলেন, ‘এটা উদ্বেগের বিষয় যে আবার নতুন করে করোনা শুরু হয়েছে। এখন আবার আইসিইউ আইসোলেশন সবগুলো আমাদের আবার ঠিকঠাক করতে হবে। এজন্য আমাদের অনেক লোকবল দরকার। অভিজ্ঞ লোকজন দরকার। কারণ আইসিইউ চালানোর জন্য হঠাৎ করে নতুন কেউ এসে কিছুই পারবে না। করোনার সময় ইআরপিপি প্রজেক্টের সময় যারা ছিল তাদের এখন অবশ্যই দরকার।’
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘XFG’ ও ‘XFC’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ালেও কুমিল্লায় নেই পরীক্ষার কিট; নেই সচল ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়াও। তবে সিভিল সার্জন জানান, এরই মধ্যে করোনা পরীক্ষার কিটের চাহিদা দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর বশির বলেন, ‘আমরা গতকালকেই আমাদের চাহিদা পাঠিয়েছি। বিভিন্ন উপজেলা থেকে টেস্ট করার জন্য যে পরিমাণ করোনা কিট এবং আরো যা যা প্রয়োজন তার লিস্ট পাঠিয়েছি। আমাদের এখানে যেই ভ্যাকসিনগুলো আপাতত রয়েছে সেগুলো আমরা প্রেগন্যান্ট মহিলা ও বয়স্কদের দেব।’
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে প্রস্তুতির অভাব থাকলে পুরনো অভিজ্ঞতা যেন নতুন করে না ফিরে আসে, এই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।