কাতারে কর্মসূত্রে বসবাস করেন চার লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখছেন তারা। সাধারণত ঈদের এই সময়টিতে শহুরে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করতে যখন গ্রামমুখী, ঠিক তেমনি প্রবাসীরাও ঈদের সময়টুকু স্বজনদের সঙ্গে কাটাতে ছুটে যান দেশের মাটিতে।
দেশে থাকা পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ও ঈদ উদযাপন করতে প্রতিদিনই বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে বিমান টিকিটের জন্য ভিড় করছেন প্রবাসীরা। যদিও, ঈদ উপলক্ষে টিকেটের বাড়তি দাম নিয়ে হতাশ তারা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের একজন বলেন, ‘টিকিটের এতো দাম। এই দাম দিয়ে আমাদের জন্য দেশে যাওয়া কষ্টকর। আমি আজকে যে টিকেট নিয়েছি সেই টিকেট বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ টাকা পরেছে।’
আরেকজন বলেন, ‘সরকারের কাছে আবেদন থাকবে ঈদের আগে যেন বিমানের টিকিটের দাম কমিয়ে আনে।’
ঈদ উপলক্ষে বিমানের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাড়তি দামের কারণে প্রবাসীরা টিকিট কিনতে পারছেন না বলে জানান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
এ আর ট্রাস্ট ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের স্বত্বাধিকারী ইউনূস হোসেন রাজিব বলেন, ‘কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে ভিড় রয়েছে। টিকেটের দাম বেশি হওয়ায় অনেকে টিকিট নিতে পারছে না।’
ঈদের আনন্দময় সময়টুকু আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রবাসীদের মধ্যে দেখা দেয় দেশে ফেরার হিড়িক। তবে, ঠিক এই সময়টিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এরপরও দেশের টানে সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটে যাচ্ছেন প্রবাসীরা।