কাতার প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে চাঙ্গা দেশের অর্থনীতি

কাতার থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স
প্রবাস
0

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশে থাকা পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে কাতারের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিড় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে কাতার থেকে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বলে জানায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো। যা দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিতে বড় অবদান রেখেছেন বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরইমধ্যে কাতার থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ছুটছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াচ্ছে দেশের রিজার্ভে।

দেশে থাকা পরিবার পরিজনের কাছে টাকা পাঠাতে শেষ মুহূর্তে কাতারের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিড় জমেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্টের অর্জিত অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন তারা। উদ্দেশ্য কেবল পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটানো। রমজানের চেয়ে কোরবানির ঈদে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠান বলে জানান এক্সচেঞ্জ হাউজের কর্মকর্তারা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন ‘কোরবানির রেমিটেন্স একটু বেশিই পাঠাতে হয়। আমরা আশা করি এটা দেশের অর্থনীতিতেও সাহায্য করবে।’

অন্য একজন প্রবাসী বলেন, ‘এবার কোরবানি ঈদ মাসের শুরুতে পড়েছে। তাই আমরা বেতন পেয়েই টাকা পাঠাতে এসেছি৷ টাকা পাঠালে দেশে আত্মীয় স্বজন ঈদ করবে।’

এরাবিয়ান এক্সচেঞ্জ কাতারের সিইও নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে সাধারণত দুই ঈদে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স যায়। তবে কোরবানি ঈদে যায় সবচেয়ে বেশি। এবার ও এর ব্যাতিক্রম নয়। আমরা আশা করছি এই বছর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যাবে। প্রতি বছর প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার কাতার থেকে যেত। এই বছরের প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে রেমিট্যান্স এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, কাতারে চার লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। কাতার থেকে প্রবাসীরা প্রতি বছর গড়ে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠলেও এবার এ সংখ্যাটা বেড়ে প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি যাবে বলে মনে করেন এক্সচেঞ্জ হাউজের কর্মকর্তারা।

ইএ