অটোয়াতেও জমজমাট বাংলাদেশি কমিউনিটি; ব্যবসায় সফলতা পাচ্ছেন প্রবাসীরা

লরিয়ার বি ইন্টারন্যাশনালে ভোজন রসিক বাঙালিদের ভিড়
প্রবাস
0

কানাডার টরন্টোর মতো রাজধানী অটোয়াতেও গড়ে উঠেছে বেশ বড় বাংলাদেশি কমিউনিটি। বিভিন্ন কাজে সরকারি দপ্তর এবং হাইকমিশনে আসা যাওয়ায় অভিবাসী বাংলাদেশির আনাগোনা বেড়েছে। তাই বাঙালি খাবারের কথা মাথায় রেখে গড়ে উঠেছে দেশিয় প্রতিষ্ঠানও। ব্যবসার ইতিবাচক পরিবেশ থাকায় বিনিয়োগ করে সহজেই সফল হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

কানাডার রাজধানী অটোয়া। জনবহুল শহর টরন্টো থেকে প্রায় ৪শ' কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। আবার মন্ট্রিয়াল থেকে ২শ' কিলোমিটারেরও কম দূরত্ব।

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর এবং হাইকমিশন থাকায় দিন দিন রাজধানীর বুকে আনাগোনা ও বসবাস বাড়ছে বাংলাদেশিদের। অটোয়ার আশপাশেও রয়েছেন মুসলিম জনগোষ্ঠীর অনেক মানুষ। কিন্তু ভারতীয় খাবারের আয়োজনের ভিড়ে, এতদিন ছিলো না বাংলাদেশি কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁ।

এ অবস্থায় বাংলাদেশি ভোজনরসিকদের কথা মাথায় রেখে ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবারে মেন্যু সাজিয়ে বসেছে লরিয়ার বি ইন্টারন্যাশনাল নামে এক প্রতিষ্ঠান। যাত্রা শুরুর কয়েকদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ফুড চেইন। মিলছে ভাত, ডাল, ভর্তা ও হরেক রকম শুটকি থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, খিচুড়িসহ নানা পদের মিষ্টান্নও।

অটোয়ার লরিয়ার বি ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মো. ইমরান বলেন, ‘আমাদের এখানে আসলে বাংলার স্বাদ, সংস্কৃতি ও আতিথিয়েতার এক অনন্য সংমিশ্রণ পাবেন। এখানে কানাডার বিভিন্ন শহর থেকে লোকজন আসেন।’

রাজধানী অটোয়া ছাড়াও টরন্টো শহরে রয়েছে অনেকগুলো বাঙালি রেস্তোরাঁ। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি সুনামও কুড়িয়েছে বিদেশের মাটিতে। টরন্টো থেকে আসা মানুষজনই বলছেন, স্বাদে ও মানে অটোয়ার লরিয়ার বি ইন্টারন্যাশনালও সেরা। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে বাংলাদেশিদের।

রেস্তোরাঁয় খেতে আসা বাঙালিরা বলেন, ‘আগে আমাদের খাবারের জন্য যেতে হতো টরন্টোতে। আমাদের অনেকদিনের আশা ছিলো এখানে একটা বাঙালি খাবারের দোকান হবে।’

বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভোজনরসিক কানাডিয়ানরাও ভিড় করছেন বাংলাদেশি রেস্তোরাঁয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। বিনিয়োগকারীরা জানান, আগামীতে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের সহযোগিতাও করতে প্রস্তুত তারা।

ইএ