সন্ধ্যার আলোয় ঝলমলে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজা। সাবওয়ে থেকে বের হতেই চোখে পড়ে একের পর এক বাংলাদেশি স্টল। খোলা জায়গায় বিক্রি হচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য-লুঙি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, তসবিহ, জায়নামাজ, শিশুদের খেলনা। আরও আছে বাংলাদেশের ডাব ও ঠান্ডা আখের রস।
বিক্রেতারা জানান, এখানে হিজাব, আতর, জায়নামাজ, তসবি এগুলো বিক্রি করা হয়। এছাড়াও ফল থেকে শুরু করে সব ধরনের কুকারিজ জিনিসও এখানে পাওয়া যায়।
কেউ ঠেলছেন ছোট্ট কাঠের ট্রলি, কেউ বা নিজের মতো করে সাজিয়েছেন ভ্যানগাড়ি। দেশি পণ্য, সাশ্রয়ী দাম, ক্রেতার অভাব নেই। এ যেন প্রবাসেও দেশের ঘ্রাণ। ক্রেতারা জানান, বাঙালিয়ানা খাবারের জনই এদিকে বেশি আসা হয়। এখানে আসলে বাংলাদেশের মতো ফিল পাওয়া যায়।
কিছু ব্যবসার আছে বৈধ লাইসেন্স, আবার অনেকেই চালাচ্ছেন ‘ক্যাশ অন হ্যান্ড’-এ নির্ভর করে। তবুও ক্লান্তি নেই কারও চোখে, আছে টিকে থাকার বাস্তব লড়াই।
বিক্রেতারা জানান, এখানে ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতারাই বাংলাদেশি। তবে অন্য দেশের ক্রেতারাও রয়েছেন।
এ খোলা বাজার কেবল পণ্য বিক্রির জায়গা নয়, এটি প্রবাসে বেঁচে থাকার এক নিঃশব্দ সাক্ষ্য। রোদ, বৃষ্টি, বরফ, সব উপেক্ষা করে প্রতিদিনের উপার্জনে চলছে এখানকার ব্যবসায়ীদের সংসার। আর টাকা পাঠানো হচ্ছে দেশের প্রিয়জনদের কাছে।
এসব ক্ষুদ্র ব্যবসার পেছনে আছে কঠোর পরিশ্রম আর একরাশ স্বপ্ন। ফুটপাতের এই আয় দিয়েই কেউ চালাচ্ছেন সংসার, কেউ বা সন্তানদের পড়াচ্ছেন স্কুলে।