এ চুক্তিবলে নকিয়া বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামে এসএলটিই সরবরাহ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন এ চুক্তিটি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
চুক্তিতে নকিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন নকিয়া ইন্ডিয়ার হেড অব সেলস ইউনিট প্রশান্ত মালকানি ও নকিয়ার সিনিয়র সেলস অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সুমন প্রাসাদ। বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম ও সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. মশিউর রহমান।
এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার, ভারতে ফিনল্যান্ডের কূটনীতিক আনত্তি হেরলেভি, জাপান দূতাবাসের ডাইসুকি সুকাও ও ম্যামি কোবাইশি।
আরও পড়ুন:
বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ৯ হাজার জিবিপিএস। ২০২৭ সালের মাঝামাঝি নাগাদ যে চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আনুমানিক ২০ হাজার জিবিপিএস ও ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে প্রায় ৫০ হাজার জিবিপিএস।
ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের (আইটিসি) মাধ্যমে ভারত থেকে দেশের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি ব্যান্ডউইথ আসে। এর ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায় ভারতে। সিঙ্গাপুর-কক্সবাজার রুটের নতুন এ তিন পেয়ার ক্যাবল চালু হলে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমবে।
নকিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ কম হবার পাশাপাশি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে তুলনামূলক স্বল্প জায়গার প্রয়োজন হয় যার ফলে ডেটা সেন্টারের জায়গা কম লাগে। যা সহায়তা করবে সহজে নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করতে পারার পাশাপাশি সার্বিক ব্যয় হ্রাসে। আর এর সুফল সরাসরি পাবেন গ্রাহকরা কেননা এতে ব্যান্ডউইথের মূল্য কমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট খরচ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





