বৈদ্যুতিক বিমানে যাত্রীসেবা, প্রস্তুত যুক্তরাজ্যের ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেস

যুক্তরাজ্যের ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেস
প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

২০২৮ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সনদ পাওয়ার লক্ষ্যে এগুচ্ছে যুক্তরাজ্যের তৈরি বৈদ্যুতিক বিমান। এর জন্য একের পর এক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার ধাপগুলো সম্পন্ন করছে নির্মাতা সংস্থা ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেস। ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের মেগাসিটিগুলোতে গণপরিবহন সেবা দেয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে এটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সংস্থাটির।

উন্মুক্ত আকাশসীমায় ডানা মেলেছে যুক্তরাজ্যের তৈরি বৈদ্যুতিক বিমান। বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সনদ পাওয়ার লক্ষ্যেই এই ছুটে চলা। ধাপে ধাপে পরীক্ষা দিয়ে সম্প্রতি পাইলটেড উইংবোর্ন ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে এই বৈদ্যুতিক বিমান। ইউরোপের আকাশসীমায় এমন ঘটনা এটিই প্রথম।

বৈদ্যুতিক বিমানটি ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। ইংল্যান্ডের পশ্চিমে অবস্থিত কটসওল্ড বিমানবন্দর থেকে সফলভাবে বিমানটির ফ্লাইট সম্পন্ন হয়েছে। যা যুক্তরাজ্যের বিমান প্রযুক্তিতে এক নতুন মাইলফলক। 

এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ার চেষ্টা বৈদ্যুতিক বিমান নির্মাতা সংস্থা ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেসের। উন্মুক্ত আকাশসীমায় উড্ডয়নে দুর্ঘটনার ঝুঁকি না থাকাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া গেছে বলে দাবি সংস্থাটির।

ভার্টিকাল অ্যারোস্পেসের সিইও স্টুয়ার্ট সিম্পসন বলেন, ‘ইউরোপীয় আকাশসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ঘটনা। এখানকার নিয়মকানুন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও কঠিন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ ছিল। আমরা এবার একটি প্রচলিত বিমানের মতো উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছি।’

মুম্বাই, নয়াদিল্লি, লন্ডনের মতো বিশ্বের মেগাসিটিগুলোতে গণপরিবহন সেবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে এই বৈদ্যুতিক বিমান বা এয়ার ট্যাক্সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ভার্টিকাল অ্যারোস্পেস কর্তৃপক্ষ।

স্টুয়ার্ট সিম্পসন বলেন, ‘মুম্বাই, নয়াদিল্লি, লন্ডন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, টোকিও, ওসাকার মতো শহগুলোতে আপনি খুব সহজেই ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। আমাদের লক্ষ্যটি সেখানেই। আপনি ৫ থেকে ১০ বছর পরে দেখবেন এটি সত্যিই গণপরিবহন হয়ে ওঠেছে। যা নিরাপদ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত।’

একটা সময় কল্পনার বাইরে হলেও এখন উড়ন্ত ট্যাক্সি বা বৈদ্যুতিক বিমান দিয়ে বাণিজ্যিক ভ্রমণ শুরু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর লক্ষ্যে চলতি বছরে শেষ নাগাদ একটি ট্রানজিশন ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

স্টুয়ার্ট সিম্পসন বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আছে। যাত্রী সংখ্যা এবং লাগেজ ধারণক্ষমতার দিক থেকে আমাদের বিমান সেরা। তাই আমরা এই ক্ষেত্রে সফল হওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে।’

২০২৮ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক বিমান দিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরুর পথে এগোচ্ছে ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেস লিমিটেড। বিমানটি ১২ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ লন্ডন থেকে হিথ্রোতে যাত্রী পরিবহন সেবা দিতে সক্ষম হবে বলেও প্রত্যাশা সংস্থাটির।

সেজু