পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী হ্যামিলটনগঞ্জ কালিপূজা মেলা

কলকাতা
কালিপূজা মেলা
বিদেশে এখন
0

স্বাধীনতার পূর্বে ইংরেজ আমল থেকে হ্যামিলটনগঞ্জ এলাকায় শুরু হয় কালীপূজা। আলিপুরদুয়ার জেলা তথা ডুয়ার্সের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী হ্যামিল্টনগঞ্জের এই কালীপূজা। চা বাগানের ইউরোপীয় সাহেবরা শুরু করে এই পূজা ও মেলা। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এই এলাকায় একের পর এক চা বাগান তৈরি করে ইউরোপীয়রা। ওই সময় চা বাগানে কাজ করার সময় ছোটোনাগপুর, রাঁচিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা হতো শ্রমিক।

কিন্তু পূজার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে আর ফিরে না আসায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয় বাগানে। চা শ্রমিকরা যেন নিজ বাড়িতে না চলে যায়; সেজন্য ইউরোপীয় সাহেবরা হ‍্যামিল্টনগঞ্জে কালীপূজা চালু করে। পরে যা কেন্দ্র করে হ্যামিলটনগঞ্জ বাসিন্দাদের উদ্যোগে শুরু হয় মেলা।

প্রতিবছরের মত এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলার বিশেষত্ব, রাজনীতি ভুলে সবাই মিলে এই মেলায় এক হওয়া। এই মেলাতে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালসহ দেশের ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা নিয়ে বিক্রেতারা এসেছে।

মেলায় রকমারি দোকান, নাগরদোলার পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে রোলেক্স সার্কাস। দুর্গাপূজা ও কালীপূজার পর হ্যামিল্টনগঞ্জের এই মেলা বাসিন্দাদের জন্য কোনো উৎসবের চেয়ে কম নয়। উত্তরবঙ্গসহ তরাই ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের সমাগম হতে শুরু করেছে মেলায়।

হ্যামিল্টনগঞ্জ মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পরিমল সরকার বলেন, ‘এই মেলার সাথে হ্যামিল্টনগঞ্জ তথা ডুয়ার্সবাসীর আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মেলার এই কিছুদিন বিভেদ, বিরোধিতা ভুলে সবাই মিলে এই মেলা উপভোগ করি।’

জেলা পরিষদের সভাপতি স্নিগ্ধা শৈব, কালচিনি বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদ সদস্য গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও কালচিনি বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামাসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে হ্যামিল্টনগঞ্জের ৮৯ তম মেলার উদ্বোধন হয়।

সেজু