দেশে দেশে নতুন বছর বরণ

বিদেশে এখন
0

পুরনো দিনের দুঃখ-বেদনা আর অপ্রাপ্তির কথা ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববাসী। নতুন বছরে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আকুতি সবার কণ্ঠে।

বিগ বেনের ধ্বনি, ড্রোনের বর্ণিল আলোকচ্ছটা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলো ব্রিটেন। আকাশ রাঙিয়ে তুলে বর্ণিল আলো দেখতে লন্ডনে ভিড় করেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষ।

|undefined

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে লন্ডনে ভিড় করে হাজারো মানুষ

প্যারিসের চ্যাম্পস এলিসিসে কয়েক লাখ মানুষ জড়ো হয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। বিশাল উদযাপন আয়োজনের নিরাপত্তায় ফ্রান্সে মোতায়েন করা হয় ৯০ হাজার পুলিশ। এরমধ্যে শুধু প্যারিসেই ছিলো ৬ হাজার পুলিশ।

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায়ও আতশবাজি ফুটিয়ে ২০২৪ সালকে বরণ করে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। যা দেখার জন্য জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।

|undefined

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় নতুন বছরকে বরণ করা হচ্ছে

চাও ফ্রায়া নদীর তীরে ২ হাজার ড্রোন শো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছর উদযাপনে মেতে উঠে থাইল্যান্ড। ছোঁড়া হয় ৫০ হাজার পরিবেশ-বান্ধব আতশবাজি। মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য দেখার জন্য ব্যাংককে ভিড় করেন হাজার হাজার পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। নতুন বছরকে বরণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে চলমান যুদ্ধ উত্তেজনা বন্ধের আহ্বান জানান তারা। এমনকি এবারের জমকালো বর্ষবরণ আয়োজনের কারণে আগামীতে থাইল্যান্ডে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় আরও বড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।

|undefined

থাইল্যান্ডের বর্নিল আলোকচ্ছটা

বর্নিল আলোর ঝলকানিতে বিশ্বে সবার প্রথম ২০২৪কে বরণ করে নেয় নিউজিল্যান্ড। আইকনিক স্কাই টাওয়ারে জ্বলে ওঠে লেজার লাইট আর অ্যানিমেশনের আলো। টানা ৫ মিনিট ধরে চলে আতশবাজির আলোকচ্ছটা।

|undefined

নিউজিল্যান্ডের আলোর ঝলকানি

নববর্ষকে উদযাপনে সবচেয়ে বেশি জনসমাবেশ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশটির বিখ্যাত হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজে হয়েছে সবচেয়ে বড় আয়োজন। প্রায় ৮ টন আতশবাজি ফোটানো হয় এখানে।

এরইমধ্যে ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়েছে জার্মান, গ্রিসসহ ইউরোপের আরও বহু দেশ। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাপান, চীন, হংকংসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও বরণ করে নিয়েছে ২০২৪ সাল।