ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে বিধ্বস্ত গাজায় আবাসন ব্যবসা করার খায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শুধু তাই নয়; গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল দখল এমনকি কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার বাসনাও জাগে তার মনে। বাণিজ্য, অভিবাসনসহ নানা ইস্যুতে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি আর চটকদার মন্তব্যে বিশ্বজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এবার খোদ মার্কিনদের তোপের মুখে ট্রাম্প। ঠাঁই হলো অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের তালিকায়। ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টের কার্যকলাপের ওপর জনগণের মনোভাব নিয়ে সিএনএনের চালানো জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। যেখানে সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের তকমা পেয়েছেন ট্রাম্প। ৩৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনওয়ারের পর যা সবচেয়ে অজনপ্রিয়।
জরিপের তথ্য বলছে, ট্রাম্পের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতির কারণে মার্চের পর সমর্থন আরো ৪ পয়েন্ট কমেছে। যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৭ পয়েন্ট কম। জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পকে তার দায়িত্ব পালনে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করলেও দ্বিগুণেরও বেশি, অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ ট্রাম্পের নেতৃত্বে অসম্মতি জানিয়েছেন।
বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে ট্রাম্পের প্রতি অনুমোদনের রেটিং মার্চের শুরু থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এজন্য শুল্কনীতিকেও দায়ী করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ট্রাম্প রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিয়ে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করায় যুক্তরাষ্ট্র অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলেও মত জরিপে অংশ নেয়ারা।
বেশিরভাগই মনে করেন ট্রাম্প উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনলেও, তার ক্ষমতা শেষে তা ম্লান হয়ে যাবে। আবার অনেকে এও মনে করেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিবর্তনই হবে না যুক্তরাষ্ট্রের।
সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতিকে সংকটের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন ট্রাম্প। যার কারণে আর্থনীতির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এতে ট্রাম্পের নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক আর শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। নিত্যপণ্যের দাম কমার যে আশ্বাসে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা, তার বাস্তবায়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উদ্বিগ্ন তারা।