ব্যাকপেইনের চিকিৎসায় রোলার কোস্টার!

রোলার কোস্টার
বিদেশে এখন
0

ব্যাকপেইন কমাতে কতো কিছুই না করি আমরা। কিন্তু এ থেকে পরিত্রাণ পেতে কখনো কি রোলার কোস্টারে চড়েছেন? অবাক লাগলেও, এমনই এক ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। নিয়মিত রোলার কোস্টারে চড়ে ব্যাকপেইন থেকে উপশম মিলেছে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা নানা ধরনের বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগি। যার মধ্যে ব্যাকপেইন বা পিঠে ব্যথা অন্যতম। কেউ আবার বার্ধক্যের আগেই ব্যাকপেইন সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ব্যাকপেইন থেকে উপশম পেতে চিকিৎসকেরা ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়াসহ নানারকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে জার্মানির একজন বৃদ্ধা ব্যাকপেইন থেকে উপশম পেতে বেছে নিয়েছেন অভিনব পদ্ধতি। রোলার কোস্টারে চড়ে ব্যাকপেইনের চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৫ বছর বয়সী সেনিওর উরসেল।

৪০ বছর বয়স থেকেই পিঠে ব্যথা শুরু হয় উরসেলের। উপশম পেতে নানা এ পর্যন্ত নানা ধরনের চিকিৎসা নিলেও লাভ হয়নি। প্রায় ৪০ বছর ধরে ব্যাকপেইন নিত্যসঙ্গী তার। তবে, হঠাৎ খুঁজে পেয়েছেন সমাধান।

৭২ বছর বয়সে একদিন রোলার কোস্টারে চড়ে তিনি অনুভব করলেন তার বেশ ভালো লাগছে। ব্যস, এরপর থেকেই নিয়মিত রোলার কোস্টারে চড়ে ব্যাকপেইনের চিকিৎসা নিচ্ছেন উরসেল।

৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বলেন, ‘প্রথম যেদিন রোলার কোস্টারে চড়লাম, অদ্ভুত অনুভূতি টের পেলাম। সময়ের সাথে সাথে আমার ব্যথা কমতে থাকলো। বলতে গেলে পুরো বিষয়টাই অলৌকিক।’

ছোটবেলায় ব্যালে নাচ শিখতেন উরসেল। সেসময় তিনি লক্ষ্য করলেন, তার বন্ধুরা স্প্লিট করতে পারলেও তিনি পারছেন না। যদিও তখন তিনি কোনো ব্যথা অনুভব করতেন না। ৪০ বছর বয়সে তার কোমর ও পিঠে ব্যথা শুরু হয়। এরপর থেকেই প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ব্যাকপেইনে ভুগছেন উরসেল।

উরসেল জানান, সপ্তাহে একবার আসেন পার্কে। এক দিনে অন্তত ২৫ থেকে ৫০ বার রোলার কোস্টার রাইডে চড়েন। কারণ, একবার রাইডে তিনি ব্যথার উপশম পান না। তবে কখনও কখনও পর্যটকদের ভিড় থাকলে বারবার রাইডে চড়ার সুযোগ মেলে না। সেসময় অপেক্ষা করতে হয় উসরেলকে।

সেজু