ময়ূরের দখলে মায়ামির পাইনক্রেস্ট

মা ও বাচ্চা ময়ূর
বিদেশে এখন
0

দক্ষিণ ফ্লোরিডার মায়ামি শহরের একটি গ্রাম পাইনক্রেস্ট। যেখানে সর্বত্র বিচরণ করছে ময়ূর। গ্রামটিতে ময়ূরের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ফলে, ময়ূরের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাইনক্রেস্ট কর্তৃপক্ষ।

ময়ূরের অবাধ বিচরণ আর কোলাহল দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছে পাইনক্রেস্টের বাসিন্দাদের। শহরে ময়ূরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন ভোগান্তি বলছেন স্থানীয়রা।

ভ্যাসেকটমি পদ্ধতির মাধ্যমে তাই ময়ূরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ড. ডন হ্যারিস। কোনো জটিলতা ছাড়াই এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ পুরুষ ময়ূরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন ড. হ্যারিস ও তার চিকিৎসক দল।

বহিরাগত প্রাণী এবং এভিয়ান পশু চিকিৎসক ড. ডন হ্যারিস বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ময়ূরের সংখ্যা স্থিতিশীল করতে পারবো। একজন পশুচিকিৎসক হিসেবে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যেনো তাদের কোনো ক্ষতি না হয়।’

ড. হ্যারিস জানান, এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যুহার শূন্য। এমনকি কোনো ময়ূর অসুস্থও হয়নি। ময়ূরের জন্মনিয়ন্ত্রণে এটি খুবই সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি। এমনকি এতে ময়ূরের সৌন্দর্য্যও অক্ষুণ্ন থাকে।

পাইনক্রেস্টের কাউন্সিলর শ্যানন ডেল প্রাডো জানান, ২০২০ সালে বাসিন্দাদের খোঁজ নিতে গিয়ে প্রথম ময়ূর সম্পর্কে অভিযোগ শুনেছিলেন। বাসিন্দারা বলেছিলেন, প্রায় এক মাইল দূর থেকে ময়ূরের ডাক শোনা যায়। এমনকি বাড়ির ছোট বাচ্চারাও ময়ূরের শব্দে ঘুমাতে পারছেনা। পরে ড. হ্যারিস ময়ূরের জন্মহার নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।

স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, যদি ময়ূরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে আগামী ২০ বছরে পাইনক্রেস্ট গ্রামে ময়ূরের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭০ লাখ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘বিষয়টা কতটুকু বিরক্তিকর, যারা এখানে বাস করেন না তাদের বোঝানো বেশ কঠিন। আমি যখন বেড়ে উঠছিলাম তখন এই এলাকায় কোনো ময়ূর ছিল না। তখন হেরন, নীল হেরন এবং আইবিস পাখি থাকলেও, এখন সর্বত্রই শুধু ময়ূর।’

ড. হ্যারিস আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের প্রকল্প এটাই প্রথম। প্রায় ১ বছর আগে প্রকল্পটি শুরু করেন তারা। ড. হ্যারিস আশা করছেন, এটি একটি মানবিক ও স্থায়ী সমাধান দেবে।

সেজু