পর্বতরোহীদের মতো ছুটছেন প্রতিযোগীরা। উঁচু এই স্তম্ভের পুরোটাই তৈরি করা হয়েছে পাউরুটি দিয়ে।
হংকংয়ের চেং চাউ দ্বীপে ৯ হাজার পাউরুটি দিয়ে তৈরি করা হয় এই টাওয়ার। তিন মিনিটের মধ্যে টাওয়ারের চূড়ায় উঠে ব্যাগ ভর্তি করে যিনি যত বেশি রুটি নিয়ে আসবেন; তিনিই হবেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী। আয়োজকদের বিশ্বাস, যে যত বেশি রুটি সংগ্রহ করবে, তার পরিবার ততই সমৃদ্ধ হবে।
চলতি বছরের প্রতিযোগিতায় ছেলে একক বিভাগে প্রথম হয়ে বান কিংয়ের শিরোপা জেতেন জ্যানেক কুং। আর নারী এককে বান কুইন নির্বাচিত হন কোক কা-মিংকে।
প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় নারীদের অংশগ্রহণ একটি মাইলফলক। আমি ভবিষ্যতেও এতে অংশ নেবো। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতি বছরই আমার ফিটনেস ও মানসিক চিন্তা ধারার বিকাশ ঘটে।’
আরেকজন বলেন, ‘সত্যি বলতে, এবার আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু সময়টি কাজে লাগাতে পেরেছি এবং চ্যালেঞ্জটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। সবকিছু নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
বান প্রতিযোগিতার পাশাপাশি উৎসবে তুলে ধরা হয় হংকংয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, চেউং চাউয়ের বাসিন্দারা বুদ্ধের জন্মদিন উদযাপনের পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা হিসেবে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে হংকংবাসী।