রাশিয়ার অন্ধ যুবকের হাতে সুগন্ধির সাফল্য

অন্ধ তৃষ্ণার ইচ্ছাশক্তি অদম্য
বিদেশে এখন
0

অন্ধ হয়েও ঘ্রাণশক্তি দিয়ে বিভিন্ন সুগন্ধি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার এক যুবক। মস্কোভিত্তিক সুগন্ধি ব্র্যান্ড পিওর সেন্সে চার সদস্যের দুজনই অন্ধ। চোখে দেখতে না পেলেও কেবল ঘ্রাণশক্তি দিয়েই তৈরি করছেন নামিদামি সব সুগন্ধি। যা দেখে রীতিমতো বিস্মিত সবাই।

অন্ধ তৃষ্ণার ইচ্ছাশক্তি অদম্য। যে শক্তি অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার। জন্ম থেকেই অন্ধ, ৩১ বছর বয়সী রাশিয়ার যুবক আলেকজান্ডার ইয়াশিন। তবে, অন্ধকার দমাতে পারেনি তার সফলতা। কেবল আলো ও ছায়া অনুভব করলেও আজ সে সফল সুগন্ধি প্রস্তুতকারী।

মস্কোর সুগন্ধি ব্র্যান্ড পিওর সেন্স। কোম্পানিটির চার সদস্যের দুজনই অন্ধ। যারা কেবল ঘ্রাণশক্তি দিয়েই তৈরি করছেন নামিদামি সব সুগন্ধি।

রাশিয়ার যুবক আলেকজান্ডার ইয়াশিন বলেন, ‘বন্ধুর দেখানো একটি বিজ্ঞাপন দেখে এই কোম্পানিতে আবেদন করি। ৬০ জন আবেদনকারীর মধ্যে আমরা তিনজন কাজের সুযোগ পাই, সেখান থেকেই শুরু। সুগন্ধি সঙ্গীদের মতো, আমাদের নিজস্ব স্বর আছে। সুগন্ধি স্বরের সংমিশ্রণ। আমরা বিভিন্ন উপাদান ও সঠিক প্রক্রিয়ায় সুগন্ধি তৈরি করি। সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি খুবই বৈচিত্র্যময়। ক্রেতাদের পছন্দমতো বিভিন্ন সুগন্ধি পদার্থ ও কাঁচামাল ব্যবহার করে আমরা সুগন্ধি তৈরি করি।’

পিওর সেন্সের প্রতিষ্ঠাতা একাতেরিনা জিনচেঙ্কো জানান, পাঁচ বছর আগে শুরু করেন এই কোম্পানি। সৃজনশীলতা ও সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা থেকেই তাদের এই সংগ্রাম।

একাতেরিনা জিনচেঙ্কো বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবো যেখানে মানুষ তাদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারে এবং তাদের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদর্শন করতে পারে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাদের সবার নিজস্ব চরিত্র এবং নিজস্ব সুগন্ধি শৈলী রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটি নতুন সুগন্ধি কে তৈরি করেছে, তা না দেখেই অনুমান করতে পারি, কারণ প্রত্যেকেই নিজেকে একজন সুগন্ধি প্রস্তুতকারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আগামী বছরগুলোতে আমরা অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ শুরু করব। আমরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় সুগন্ধি পাঠাই। আমি বিশ্বাস করি অন্ধ ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে গন্ধ উপলব্ধি করে। তাদের জগৎ প্রকাশিত হয় সুগন্ধির মাধ্যমে।’

শিগগিরই নিজেদের সুগন্ধি আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণ করতে চায় পিওর সেন্স। ক্যাটালগের বৈচিত্র্য এবং কর্মীদের রোমাঞ্চিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তৈরি সুগন্ধি বিশ্বজয় করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

সেজু