যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডন। শনিবার এ অঞ্চলের প্রধান সড়ক পরিণত হয় এক টুকরো ফিলিস্তিনে। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল লন্ডনে নেমে আসেন লাখো মানুষ।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ইহুদিবাদী আধাসামরিক বাহিনী সাড়ে সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিজ ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) ফিলিস্তিনের বিপর্যয় বা নাকবা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা। ঐতিহাসিক এই দিনটির ৭৭ বছর পূর্তিকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার ও ব্রিসটলেও।
এদিন লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি এই বিক্ষোভ ভণ্ডুল করতে আসেন ইসরাইলের একদম সমর্থক। যদিও ফিলিস্তিনি সমর্থকদের তোপে মুখে সমাবেশ প্রাঙ্গণে খুব একটা পাত্তা পায়নি ইসরাইলপন্থিরা।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এদিন রাজপথে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের বেসেল শহরের হাজারো মানুষ। বিশ্বখ্যাত ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরাইলিদের অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়ায় আয়োজকদের তীব্র সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময়, পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয় তাদেরকে।
গাজাবাসীর ওপর চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলেছেন গ্রিসের ফিলিস্তিনপন্থি জনগণ। রাজধানী এথেন্সে ইসরাইল ও মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই ক্ষোভ নিরপরাধ গাজাবাসীর ওপর উগ্রে দিচ্ছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর নির্দেশে নাকবা দিবসেও ১০০ এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে, এতকিছুর পরও কিন্তু সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী।
ইসরাইলি জনগণের একটি বড় অংশ মনে করে গদি বাঁচাতে গাজায় যুদ্ধ ক্রমশ প্রলম্বিত করছেন নেতানিয়াহু।