তাদের শেলফে সাজিয়ে রাখা আইসক্রিমগুলো দেখে জিভে জল আসলেও খেতে গিয়ে হঠাৎ বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ কোনো আইসক্রিমে পাবেন টমেটো সসের ফ্লেভার, কোনোটায় পেঁয়াজের আচারের স্বাদ, কোনোটায় ওটসের স্বাদ। চার বছর ধরে অভিনব সব ফ্লেভারের আইসক্রিমের পসরা সাজিয়েছে লন্ডনের বিলাসবহুল হ্যান্ডব্যাগ ডিজাইনার ব্র্যান্ড আনিয়া হাইন্ডমার্চ।
আনিয়া হাইন্ডমার্চ বলেন, ‘নতুন ফ্লেভারের সঙ্গে পুরোনো অনেক ফ্লেভার নিয়ে এসেছি। ওটস, বার্ডস কাস্টার্ড, ম্যাডলন সি-সল্ট ভোক্তাদের প্রিয়। ক্লাব অরেঞ্জ টেস্ট করতে পারেন, এটাও কমলার স্বাদে তৈরি। অলিভ অয়েল ফ্লেভারের আইসক্রিমও আপনাকে সতেজ করবে। পেঁয়াজের আচার ফ্রেভারের আইসক্রিম তো টেস্ট করতেই হবে।’
হট চিলি সসের তৈরি স্রিরাচার ফ্লেভারসহ ভিন্নধর্মী সব আইসক্রিমের স্বাদ নিতে এই আইসক্রিম পার্লারে আইসক্রিমপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে।
চলতি বছর নতুন সংযোজন হয়েছে স্কটিশ সফট ড্রিঙ্ক ইরন ব্রু, গমের তৈরি খাবার টুইগলেটসের ফ্লেভার। রয়েছে বার্ডস কাস্টার্ডের আইসক্রিমও।
গ্রাহকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রথমবার বার্ডস কাস্টার্ড খেলাম। সত্যি ভালো লেগেছে। ভ্যানিলা ফ্লেভারটা বেশি ভালো। টুইগলেটস খেয়ে দেখেছি। মনে হলো লবণাক্ত ক্যারামেল দিয়ে বানানো, ভালোই লেগেছে।’
২০২১ সালে লন্ডনের পন্ট স্ট্রিটে এই আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করে ডিজাইনার আনিয়া হাইন্ডমার্চ। আনিয়া ক্যাফেসহ তার অন্যান্য স্টোরের পাশেই অবস্থিত এই আইসক্রিম পার্লার। শুরু থেকেই আইসক্রিম প্রজেক্ট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে অদ্ভুত স্বাদের হিমশীতল ডেজার্টের জন্য।
আনিয়া হাইন্ডমার্চ বলেন, ‘এই বছর চেষ্টা করেছি ব্রিটিশদের প্রধান খাবারগুলোর ফ্লেভার আইসক্রিমে নিয়ে আসার। আগে কর্ন ফ্লেক্স ছিলো, রাইস ক্রিস্পিস ছিলো, চকো পপসও ছিলো। অনেকেই এখন আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।’
আইসক্রিমের স্বাদ নিতে আসা ভোক্তারা একে একে খেয়ে দেখছেন সব ধরনের আইসক্রিম। জানাচ্ছেন নিজেদের অদ্ভুত মতামত।
গ্রাহকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ওভালটিন ফ্লেভার, হরলিক্স ফ্লেভার। গলে যাচ্ছে, এতো ভালো লাগছে। স্রিরাচাও টেস্ট করে দেখলাম। ওইটা ভালো লাগেনি। মধুর আইসক্রিমটা বেশ ভালো। পেঁয়াজের আচারের আইসক্রিম খেয়ে দেখতে হবে।’
২০২৫ সালে আইসক্রিম পার্লার খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত টুইগলেটসই ভোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। পিকলড অনিয়ন আর স্রিরাচা নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই আইসক্রিম প্রোজেক্ট চালু থাকবে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত।