বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে ইরানের সর্বোচ্চ সংবিধান রক্ষাকারী সংস্থা গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তাতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আইএইএ যদি ইরানের কোনো পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শনে যেতে চায়, তবে তা অনুমোদন করতে হবে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে।
১২ দিনের ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত এলো। তেহরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে হলেও ইসরাইল তা মেনে নিচ্ছে না এবং যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিকে অজুহাত বানিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে।
ইরানি সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির মুখপাত্র জানান, বিলটি কার্যকর হলে আইএইএ’র সব ধরনের নজরদারি, যেমন ক্যামেরা স্থাপন, তথ্য প্রতিবেদন ও পরিদর্শন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও আজ (বুধবার) আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, তারা ইরানে পরিদর্শক পাঠানোর চেষ্টায় রয়েছেন, বিশেষ করে ১৩ জুন ইসরাইলি হামলার আগ পর্যন্ত যেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছিল তেহরান, সেইসব কেন্দ্রে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সম্পর্কের নতুন উত্তেজনা শুরু হলো এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে।