তীব্র দাবদাহে যখন জনজীবনে নাভিশ্বাস, তখন বাড়ির ছোট বড় সদস্যদের নিয়ে জার্মানির সর্বোচ্চ পাহাড় জুগসপিটায় বেড়াতে এসেছেন স্থানীয়রা। নয়নাভিরাম এই শুভ্র পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে অনেকেই আবার নেমে পড়েছেন স্লেজিং করতে।
স্থানীয়রা জানান, ঠান্ডা লাগলেও উপভোগ করছি। খুব অল্প সময়ের জন্য এখানে এসেছি। জানতাম না এত ভালো সময় কাটবে। দুই দিন ধরে চেষ্টার পর এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি। সকালে কিছুটা গরম লাগলেও এখন আবহাওয়া বেশ শীতল। সময়টা বিশ্রাম করে কাটাতে চাই। এই গরম সহ্য করা যায় না।
মঙ্গলবার জার্মানিতে যখন তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই, তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৯৬২ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই পাহাড় চুঁড়ায় তাপমাত্রা মাত্র ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাঠফাটা এই গরম থেকে বাঁচতে বিশেষ এ অঞ্চলে ছুটে এসেছেন শত শত জার্মান।
পর্যটকদের এই উচ্ছ্বাসে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়তে থাকা পাহাড়শৃঙ্গ জুগসপিটারের বেহাল দশা। আশঙ্কাজনক হারে গলে যাচ্ছে বরফ। পাহাড়টির দক্ষিণে শ্নিফারনা পয়েন্ট ২০২২ সালেই হারিয়েছে হিমবাহের মর্যাদা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এর উত্তর প্রান্তের হিমবাহটিরও একই পরিণতি হবে এমন আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
হিমবাহ হল বরফের বিরাট চলমান স্তুপ বা নদী। পার্বত্য অঞ্চলে শীতকালে তুষারপাতের হার গ্রীষ্মে তুষার গলে যাওয়ার হারের বেশি হলে পাহাড় চূড়ায় জমতে শুরু করে বরফ। জমে যাওয়া এই বরফ যখন মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসে তাকে বলে পাহাড়ি হিমবাহ। প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টি ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে এমন আশঙ্কা বিষণ্ন করে তুলছে জুগসপিটারে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও।