ভারতের কর্ণাটকে গুহায় মিললো দুই কন্যাশিশুসহ এক রুশ নারীর সন্ধান

উদ্ধার হওয়া রুশ নারী ও দুই শিশু কন্যা
বিদেশে এখন
0

ভারতের কর্ণাটকের গোকার্নায় রামাতীর্থ পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত একটি দুর্গম আর বিপজ্জনক গুহায় সন্ধান মিললো দুই কন্যা শিশুসহ এক রুশ নারীর। উদ্ধারকৃত নারী ও তার সন্তানেরা রাশিয়ার নাগরিক। ধ্যান ও প্রার্থনায় নিজেকে মগ্ন রাখতে জনমানবহীন আর বিষধর সাপের বসতি গুহাটি বেছে নেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পর্যটকদের সুরক্ষায় চলছিলো পুলিশের নিয়মিত টহল। সে সময় বনের গহীনে ভূমিধস প্রবণ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় একটি গুহার কাছে কিছু নড়তে দেখে পুলিশ। এরপর তল্লাশি শুরু হলে একটি অস্থায়ী ঘরে মেলে সন্তানসহ নারী।

জানা গেছে, ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম নিনা কুতিনা এবং রাশিয়ার নাগরিক তিনি। গুহাটিতে থাকছিলেন প্রায় সাত বছর বয়সী প্রেমা ও চার বছর বয়সী আমাকে সাথে নিয়ে। জিজ্ঞাসাবাদে নিনার দাবি, আধ্যাত্মিক যাত্রা ও নির্জনতার খোঁজে গোয়া থেকে গোকার্নায় পৌঁছান তিনি। যান্ত্রিক নগরজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্যান ও প্রার্থনায় মগ্ন থাকতে গুহাটি বেছে নেন বলেও জানান তিনি।

নিনার উদ্দেশ্য অসৎ না হলেও এমন পরিবেশে দুই শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। গুহাটি যে পাহাড়ে অবস্থিত, সেই রামাতীর্থতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বড় ধরনের ভূমিধস হয়েছিল। একইসঙ্গে এলাকাটি বিষধর সাপসহ নানা বিপজ্জনক বন্যপ্রাণীর বসতি, যে কারণে মানুষের পা এলাকাটিতে পড়ে না বললেই চলে।

এমন পরিস্থিতিতে ওই নারীকে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে জানানোর পর এবং যথাযথ পরামর্শ দিয়ে পরিবারটিকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং অনুরোধ সাপেক্ষে তাদের বানকিকোড়লা গ্রামে ৮০ বছর বয়সী নারী সন্ন্যাসী স্বামী ইয়োগারত্ন স্বরস্বতীর আশ্রমে পৌঁছে দেয়া হয়।

পরে গুহায় আবারও সমন্বিত অভিযান চালিয়ে নিনা কুতিনা ও তার মেয়েদের হারানো পাসপোর্ট আর ভিসার কাগজপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। দেখা যায়, বিজনেস ভিসায় প্রবেশ করা নিনার ভিসার মেয়াদ ২০১৮ পর্যন্ত তিনবার শেষ এবং রি-ইস্যু হলেও এরপর অনুমতি ছাড়াই ভারতে থাকছিলেন তিনি। তবে গহীন জঙ্গলের গুহায় কতদিন ধরে থাকছিলেন, সেটি জানা যায়নি।

ভিসা নীতি লঙ্ঘন করায় বর্তমানে নিনা ও তার সন্তানদের নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

ইএ