বিভিন্ন দেশে বন্যা ও ভূমিধসে রেড অ্যালার্ট জারি

চীনে বন্যা পরিস্থিতি
পরিবেশ ও জলবায়ু
বিদেশে এখন
0

বছরের রেকর্ড বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে তাইওয়ানে এক সপ্তাহে প্রাণ গেছে অন্তত ৪ জনের। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ। বন্যায় বিপর্যস্ত চীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার ৬টি অঞ্চলে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এ ছাড়াও ভারতের উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জুলাই মাসে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে প্রবল শক্তিতে আঘাত হানে টাইফুন দানাস। যা দ্বীপটির জন্য বিরল ঘটনা। দানাসের তাণ্ডবে উপড়ে পড়ে ৩ হাজারেরও বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে কয়েক দশকের মধ্যে দ্বীপটির বিদ্যুৎ খাত সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়ে।

এরমধ্যে দেখা দেয় প্রবল বৃষ্টি। তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সঙ্গে দেখা দেয় ব্যাপক ভূমিধস। দ্বীপটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গেল এক সপ্তাহে ১০২ দশমিক ৩ ইঞ্চি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। যা পুরো বছরের গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি।বন্যা ও ভূমিধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

গেল এক সপ্তাহের টানা প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ব্যাপক ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষকে। এখনো নিখোঁজ তিনজন, আহত রয়েছে অর্ধশত।

আরও পড়ুন:

চীনের রাজধানী বেইজিংসহ তিয়ানজিন ও হেবেই প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চলছে উদ্ধার অভিযান। বেইজিংয়ের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হেবেই প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ অবস্থায় বেইজিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ের ১৬টি জেলার অন্তত ছয়টিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ২ কোটির বেশি মানুষ। সম্প্রতি বন্যা ও ভূমিধসে শুধু বেইজিংয়ে প্রাণ হারিয়েছে অর্ধশত মানুষ। যা ২০১২ সালের পর দেশটির রাজধানীতে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।

এদিকে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত আছে প্রবল বৃষ্টি। এতে এসব অঞ্চলের নদীগুলোর পানি এরইমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে বন্যা।

ভারতের প্রায় অর্ধেক কৃষি জমিতে নেই সেচের সুবিধা। চাষাবাদের জন্য দেশটিকে নির্ভর করতে হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মৌসুমি বৃষ্টির ওপর। এ সময়ে বৃষ্টি সেচের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি সরবরাহ করে। তবে অতিবৃষ্টিতে দেশটিতে অধিকাংশ সময়ই দেখা দেয় বন্যা ও জলাবদ্ধতা।

এ বিষয়ে এক ভোক্তভোগী বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। গঙ্গা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। লোকালয়ে পানি ঢুকছে খুব দ্রুত।’

আরেক ভোক্তভোগী জানায়, দেড় মাস ধরেই পানি বাড়ছে। মাঝে মাঝে পানি কমলেও, হুট করেই বেড়ে যায়।

সেজু