বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইউরেনিয়াম উত্তোলন-আমদানির পরিকল্পনা ভারতের

নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর
বিদেশে এখন
0

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইউরেনিয়াম উত্তোলন ও আমদানির অনুমতি প্রদানের পরিকল্পনা করছে ভারত। যা বাস্তবায়িত হলে পরমাণুর মাধ্যমে বিদ্যুতের উৎপাদন ৫ শতাংশ উন্নীত হবার আশা করছে মোদি প্রশাসন। তবে বিশ্লেষকদের দাবি, লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশিয় ইউরেনিয়ামের মজুত যথেষ্ট নয়।

বিশ্বের ৬ষ্ঠ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত। দেশটিতে নিউক্লিয়ার রিয়েক্টরের সংখ্যা ২৫টি। যা থেকে মেটানো হচ্ছে ভারতের ৩ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা। যদিও দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে ছিল এ খাতের নিয়ন্ত্রণ।

তবে এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইউরেনিয়াম উত্তোলন, আমদানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অনুমতি দিতে যাচ্ছে মোদি সরকার। ভারত সরকারের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০৪৭ সাল নাগাদ পরমাণুর মাধ্যমে বিদ্যুতের উৎপাদন ১২ গুণ বাড়াতে চায় নয়াদিল্লি। এ লক্ষে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ।

তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি পরিকল্পনা রয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রসঙ্গ। শীঘ্রই অনুমতি প্রদানের জন্য তৈরি করা হতে পারে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫ শতাংশ সরবরাহ করা যাবে পরমাণু কেন্দ্রের মাধ্যমে। পরমাণু তৈরির উপাদানের অপব্যবহার, তেজস্ক্রিয়তা থেকে সুরক্ষা ও কৌশলগত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এককভাবে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করে আসছিল। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে পারমাণবিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান।

তবে এত কিছুর পরেও লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তথ্য বলছে, দেশটিতে ৭৬ হাজার টন ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে।

যা বার্ষিক ১০ হাজার মেগাওয়াট করে আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। যদিও এটি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। তাই চাহিদা পূরণে ইউরেনিয়াম আমদানির বিকল্প নেই দেশটির।

বর্তমানে বিশ্বের তিনটি দেশ-যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ইউরেনিয়াম উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অনুমতি রয়েছে। ফলে মোদি প্রশাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে চতুর্থ দেশ হিসেবে এ তালিকায় যুক্ত হবে ভারত।

সেজু