গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল, ফের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল। এভাবেই এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে হচ্ছে উপত্যকাটির বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিদের।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘শুধু তাবুতে নয়, খোলা আকাশের নিচে থাকলেও ইসরাইলি হামলার স্বীকার হতে হয়। কীভাবে আমরা এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাবো? এখান থেকে দক্ষিণে যেতে তিন হাজার শেকেল দরকার। আমার কাছে তিন শেকেলও নেই। বয়স্ক মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এখান থেকে রাফা পর্যন্ত হেঁটে যেতে হবে। সেখানেও বেশিরভাগ অঞ্চল ইসরাইলিদের দখলে। লাখ লাখ মানুষ আমরা কোথায় যাবো?’
স্থানীয়দের অন্য আরেকজন বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাদের কাছ থেকে কিছু চাই না। তারা শুধু আমাদের বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই হবে।’
তবে এতেও শেষ রক্ষা হয় না অসহায় এ ফিলিস্তিনিদের। তাদের লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। সোমবার সকাল থেকেই উপত্যকাটিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা।
ফিলিস্তিনিদের একজন বলেন, ‘এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। আবারও এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরানোর পায়তারা চলছে। ইসরাইল সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সেনাদের যেন গাজা থেকে সরিয়ে নেয় এবং আমাদের ঘর-বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দেয়।’
আড়ও পড়ুন:
গাজাবাসীর ওপর ন্যক্কারজনক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। মানবাধিকার ও খাদ্য দেয়ার নাম করে ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সংগঠনটির।
তবে যা কিছুই ঘটুক গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে না ইসরাইল। তাহলে আরও একটি ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি হবে বলে মন্তব্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর।
ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার জন্য আমাদের শর্তগুলো মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হামাস। আমরা শুধুমাত্র হামাসকে নিরস্ত্র করার জন্যই জোর দিচ্ছি না, ইসরাইল হামাসকে নির্মূলে যা দরকার তাই করবে।’
হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলজুড়ে। যেখানে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ ইহুদি। বলা হচ্ছে গত দুই বছরের মধ্যে নেতানিয়াহু বিরোধী এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এরইমধ্যে সেখানে ধরপাকড়ও চালায় ইসরাইলি পুলিশ।