বাংলাদেশে অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগে কোটা অনুমোদনে প্রায় আড়াই বছরের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করল দেশটির সরকার। ১৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন, কোটা অনুমোদন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষি, বাগান ও খনিসহ তিনটি প্রধান খাত এবং সেবাখাতের ১০টি উপখাতে সীমিত আকারে আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নতুন করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে চ্যালেঞ্জও। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, এ নিয়ে আসেনি সিদ্ধান্ত। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা না আসা পর্যন্ত পাসপোর্ট জমা ও অর্থ লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রবাসীদের।
মালয়েশিয়া প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘যারা মালয়েশিয়া আসতে চাচ্ছেন তারা দালালের চক্করে পড়বেন না। এখনো কোটা অনুমোদন পায়নি। কিছু সংখ্যক কোটা অনুমোদন দিতে পারে ডিসেম্বরে।’
আরও পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ বন্ধ আছে প্রায় ১৪ মাস। নতুনদের কর্মসংস্থানের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসীরা। তাদের মতে, সরকারি পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণ ও দালালমুক্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চালু হলে শ্রমিকরা উপকৃত হবেন, বাড়বে দু’দেশের পারস্পরিক আস্থাও। অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা বা ব্যয় শূন্য প্রক্রিয়ার প্রতিও জোর দিচ্ছেন অনেকে।
মালয়েশিয়া সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘বর্তমানে যে সিস্টেমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে শ্রম রপ্তানি হচ্ছে, সেই সিস্টেম চালু থাকলে বাংলাদেশ কমিউনিটি খুব লাভবান হবে না।’
মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী রাসেল রানা বলেন, ‘যদি সিন্ডিকেটমুক্ত হয়ে স্বচ্ছ পক্রিয়ায় হয়, তাহলে কর্মজীবীরা যারা আসবে তাদের জন্য ভালো হবে।’
এদিকে চলতি বছরের সর্বোচ্চ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন। গতবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে মোট বৈধ কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৬৮ হাজার, যেখানে বাংলাদেশি আছেন প্রায় ৯ লাখ।