এতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ইলিনয় ও ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির প্রবণতার কথা বললেও পুলিশ বিভাগের তথ্য বলছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে শুধু ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমেছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ঘিরে আরও কঠোর ব্যবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন। ১১ আগস্ট অস্থায়ীভাবে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পর এবার তাদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার থেকে সেনারা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। যদিও ওয়াশিংটনে টহলরত প্রায় ২ হাজার সেনা অস্ত্র বহন করবে না বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলো পেন্টাগন এবং মার্কিন সেনাবাহিনী। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নিয়ম অনুসারে-কেবলমাত্র শেষ অবলম্বন হিসেবে কিংবা মৃত্যু বা গুরুতর শারীরিক ক্ষতির আসন্ন হুমকির ঝুঁকিতেই এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনের যৌথ টাস্ক ফোর্স বলছে, বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেই নেয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:
ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও ১৯টি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ১৭শ’ সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরমধ্যে বাল্টিমোর, শিকাগো এবং নিউইয়র্ক অন্যতম। ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন এসব শহরগুলোতেও অস্ত্রসহ সৈন্য মোতায়েনের হুমকিতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ইলিনয় ও ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর। বাল্টিমোরে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর। এমনকি সেনা পাঠানো নিয়ে প্রেসিডেন্টের আইনি ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এছাড়া শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেছেন ইলিনয় গভর্নর জেবি প্রিটজকার।
মূলত অপরাধ দমনের নামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেসব শহরের ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন, তার সবগুলোই ডেমোক্র্যাটশাসিত। ওয়াশিংটন পোস্ট ও শার স্কুলের এক জরিপে দেখা গেছে, শহরটির প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা ফেডারেল কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন এবং স্থানীয় পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
যদিও ট্রাম্প দাবি করছেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির প্রবণতা থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি ছিল। এমনকি ৩০ দিনের টহল শেষে পরিস্থিতি সন্তোষজনক না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বিভাগের তথ্য বলছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ২০২৪ সালে সর্বনিম্ন। আর ২০২৫ সালের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী অপরাধের ঘটনা আরও কমছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ এবং ছিনতাই ২৮ শতাংশ কমেছে।