থেইন বাঁধ দিয়ে পানি ছেড়েছে ভারত, সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় পাঞ্জাব

পাকিস্তানে বন্যার শঙ্কা
বিদেশে এখন
0

থেইন বাঁধ দিয়ে রাভি নদীতে ভারত পানি ছেড়ে দেয়ায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জারি করা হয়েছে উচ্চ বন্যা সতর্কতা। এরইমধ্যে নদী তীরবর্তী দেড় লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। লাহোর, ফয়সালাবাদ ও শিয়ালকোটসহ ৬টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। এদিকে ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বিষ্ণু দেবী মন্দিরের পাশে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০জন।

স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বর্ষা মৌসুম পার করছে পাকিস্তান। খাইবার পাখতুনখোয়া ও আজাদ জম্মু কাশ্মীরের পর এবার নজিরবিহীন বন্যার মুখোমুখি পাঞ্জাব।

মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী থেইন বাঁধ খুলে দেয় ভারত। এতে হুহু করে বাড়ছে সুতলেজ ও রাভি নদীর পানি। জিও নিউজের প্রতিবেদন বলছে, রাভি নদীতে ২ লাখ কিউসেক ও চেনাব নদীতে ১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরসহ গোটা পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে উচ্চ বন্যা সতর্কতা। বর্তমান পরিস্থিতিকে গুরুতর বলে অভিহিত করেছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

গত সপ্তাহে দুইবার বাঁধ খুলে দেয়ার সতর্কবার্তা পাকিস্তানকে দেয় ভারত। যদিও এ সতর্কবার্তা পাঠানো হয় কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে। পাহেলগামে হামলার জেরে গেলো এপ্রিলে একতরফাভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি।

রাভির পাশাপাশি চেনাব ও সাতলেজ নদীতে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী দেড় লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাহোর, ফয়সালাবাদ ও শিয়ালকোটসহ কয়েকটি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। গেলো জুন থেকে পাকিস্তানে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ শতাধিক মানুষ।

আরও পড়ুন:

এদিকে ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বিষ্ণু দেবী মন্দিরের পাশে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরইমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে তীর্থযাত্রা। চলছে উদ্ধার কাজ। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পিয়ুশ ধোতরা বলেন, ‘ইন্দ্রপাশা এলাকায় ভূমিধসের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ৫টি মরদেহ আনা হয়েছে। আরও ১০ থেকে ১১ জন আহতের তথ্য পেয়েছি।’

কাশ্মীরের তাওয়ি নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা কমলেও চেনাব নদী পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে। নদী তীরবর্তী ৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতের সময় জম্মুতে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা।

ইএ