কেউ কাজ করছেন রাস্তার ধারে, কেউ বা সৈকতে—উদ্দেশ একটাই, একসময়ের ‘লিটল রোমা’ খ্যাত শহরটিকে তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়া।
সরকারের এমন মহৎ পরিকল্পনায় যোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন শত শত স্বেচ্ছাসেবক।
স্যানিটেশন ও পুনর্বাসন বিভাগের পরিচালক মোহামেদ সুদি বলেন, ‘আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। মানুষ এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতন নয়। এতে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।’
কেবল পরিচ্ছন্নতা নয়, শহর রক্ষায় জলাবদ্ধতা রোধেও নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বানাদির অঞ্চলের মেয়রের নেতৃত্বে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে।
বানাদির অঞ্চলের মেয়র হাসান মোহামেদ হুসেইন বলেন, ‘শুরুতে আমাদের ২৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিল। এখন আমরা সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫০ করেছি। খুব শিগগিরই আরও ৫০ জন নিয়োগ দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
বুলডোজার চলছে, ট্রাকভর্তি আবর্জনা যাচ্ছে শহরের বাইরে। স্পষ্ট হতে শুরু করেছে শহরের নতুন চেহারা। বাড়ছে নাগরিক আস্থা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘সৌন্দর্য একদিনে আসে না। কমিউনিটির সবাই মিলে কাজ করলে মোগাদিসুর এই পরিবর্তন সম্ভব।’
লিডো বিচে চলছে বিশেষ অভিযান—লক্ষ্য প্লাস্টিক দূষণরোধ। চার বছর ধরে কাজ করে যাওয়া পরিবেশবাদী দল বলছে, এ উদ্যোগ শুধু সৌন্দর্য নয়, পরিবেশ রক্ষারও অংশ।
যুদ্ধ আর অস্থিরতার ছাপ মুছে, নতুন এক শহর হয়ে উঠছে মোগাদিসু। পরিচ্ছন্নতার এ যাত্রা যেন এক নবজাগরণের প্রতীক—ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলা এক দৃপ্ত পদক্ষেপ। মোগাদিসুর এ প্রচেষ্টা দেখিয়ে দিচ্ছে—ইচ্ছা থাকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবর্তন সম্ভব।