পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে চালু থাকা যাত্রী সেবা ফানিকুলার বা ক্যাবল রেল পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এবার জনপ্রিয় এই ক্যাবল রেলেই ঘটলো ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি ক্যাবল রেল দ্রুতগতিতে নিচে নামার সময় লাইনচ্যুত হয়ে পাশের একটি আবাসিক ভবনে ধাক্কা খায়। মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ক্যাবল ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিদেশি পর্যটকসহ বেশ কয়েকজন। আহত হন আরও অনেকে।
দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ ও দমকলবাহিনী। এসময় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়াও, রাজধানী লিসবনে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শহরের মেয়র কার্লোস মোয়েদা। হতাহতদে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরজুলা ফন ডার লাইয়েনসহ অনেক ইউরোপীয় নেতা। শোক জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও।
এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের রেলপথটি চালু হয় ১৮৮৫ সালে। যা পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় যাতায়াতের মাধ্যম। এটি লিসবনের রেস্তোরাদোরেস থেকে বাইরো আলতো এলাকায় যাত্রী পরিবহন করে। ৭টি পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা লিসবন শহরে উপরে-নিচে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এ ধরনের ক্যাবল রেলের একাধিক সেবা চালু রয়েছে শত বছর ধরে।