সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল গতকাল (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আন্দোলনকারীদের সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। জাতীয় ঐতিহ্য, জনসম্পদ ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা অপরিহার্য। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
গত দুই দিনে বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দ্রুত দুর্নীতি ও সরকারের স্বচ্ছতার অভাবের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে ২০ জন নিহত হলে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। নিজেদের ‘জেন জেড’ পরিচয়ে তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিবিদদের বিলাসী জীবনযাত্রা ও সাধারণ নেপালিদের দুর্দশার বৈষম্য তুলে ধরছেন।
আরও পড়ুন:
এদিকে, সহিংসতায় সরকারি ভবন ও রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা হচ্ছে। চাপের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি
এরই মধ্যে সেনারা কাঠমান্ডুর বিমানবন্দর, সচিবালয় ভবন সিংহদরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালে কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি চলাচলের অনুমতি রয়েছে।
সেনাবাহিনী স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে নাগরিক ও সাংবাদিকদের সরকারি তথ্যের ওপরই নির্ভর করতে এবং গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।—এনডিটিভি