নেপালে সরকার পতনের পর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন তরুণদের

নেপালের পতাকা হাতে যুবক
বিদেশে এখন
0

নজিরবিহীন আন্দোলন আর সহিংস বিক্ষোভে সরকার পতনের পর নেপালের নতুন নেতৃত্বে সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার আশা দেখছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু তাই নয়, দেশ গঠনেও ভূমিকা রাখতে চায় আন্দোলনে সক্রিয় থাকা তরুণ সমাজ। যদিও, সুযোগসন্ধানীদের হাতে এরইমধ্যে গণআন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে বলে মনে করছে জেন-জিদের একটি অংশ।

গেল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কবলে হিমালয়কন্যা নেপাল। জেন-জিদের দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা নেপালে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বহু সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায়।

প্রাণ রক্ষায় পালিয়েছেন দেশটির বহু মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সহিংস বিক্ষোভের মুখে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সামরিক হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন:

দেশটির পার্লামেন্ট ভবনসহ এমপি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আন্দোলন থামার একদিন পরও ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা জেন-জিদের অভিযোগ, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিল তারা। সুযোগসন্ধানীরা বিক্ষোভকে পুঁজি করে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে।

এমন অবস্থায় দেশটির তরুণ প্রজন্ম বলছে, পুরানো রাজনীতিবিদদের বিদায় জানিয়ে নতুন নেতৃত্বে দেশ গড়তে চান তারা। সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখছে নেপালের নানা বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সহিংস বিক্ষোভ থামলেও, এখনো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসের আলামত। রাজধানী কাঠমান্ডুতে ধ্বংসস্তূপ সরাতে পরিষ্কার অভিযানে নেমেছে একদল তরুণ-তরুণী।

পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানালেও বিক্ষোভে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক নেপালের সাধারণ মানুষ। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা জেন-জিদের দাবি, তাদের এই আন্দোলন অহিংস ছিল, থাকবে।

ইএ