গেল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কবলে হিমালয়কন্যা নেপাল। জেন-জিদের দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা নেপালে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বহু সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায়।
প্রাণ রক্ষায় পালিয়েছেন দেশটির বহু মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সহিংস বিক্ষোভের মুখে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সামরিক হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন:
দেশটির পার্লামেন্ট ভবনসহ এমপি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আন্দোলন থামার একদিন পরও ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা জেন-জিদের অভিযোগ, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিল তারা। সুযোগসন্ধানীরা বিক্ষোভকে পুঁজি করে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
এমন অবস্থায় দেশটির তরুণ প্রজন্ম বলছে, পুরানো রাজনীতিবিদদের বিদায় জানিয়ে নতুন নেতৃত্বে দেশ গড়তে চান তারা। সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখছে নেপালের নানা বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সহিংস বিক্ষোভ থামলেও, এখনো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসের আলামত। রাজধানী কাঠমান্ডুতে ধ্বংসস্তূপ সরাতে পরিষ্কার অভিযানে নেমেছে একদল তরুণ-তরুণী।
পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানালেও বিক্ষোভে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক নেপালের সাধারণ মানুষ। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা জেন-জিদের দাবি, তাদের এই আন্দোলন অহিংস ছিল, থাকবে।