গাজা শহরের উপকূলীয় সড়কে দীর্ঘ সারিতে চলছে গাড়ি আর গাধার গাড়ি। যেন মানুষের স্রোত বইছে। ইসরাইলি বাহিনীর নতুন সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় গাজা শহর ছেড়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
তারা ছুটছেন মাওয়াসির দিকে—যাকে ইসরাইল মানবিক এলাকা দাবি করে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। সেখানের তাঁবুগুলোতে যথেষ্ট জায়গা নেই, নেই সুপেয় পানি, খাবার এমনকি চিকিৎসাও।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘গাজার কোথাও নিরাপদ নয়। আমরা যেখানে, সেখানেও মৃত্যুর ভয় বিপদ চারিদিকে।’
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বহুবার স্থানান্তরিত হয়েছেন গাজাবাসীরা।
আরও পড়ুন:
পুরো অঞ্চল এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত। খাদ্যাভাব ও অপুষ্টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর পাঁচবার বাসা ছেড়েছি, এখন একটা ময়লার স্তূপের পাশে তাবুতে আছি। আর পারছি না যুদ্ধ শেষ হোক।’
ইসরাইল বলছে, তারা আরও তাঁবু, খাবার ও ওষুধ সরবরাহের চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—মানবিক অঞ্চল বললেও সেখানে বোমা পড়েছে বহুবার।
নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালানোর পাশাপাশি আইডিএফ বলছে হামাস যদি তাদের হাতে থাকা শেষ জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তবে তারা গাজায় কঠোর অভিযান চালাবে তারা।
তবে ইসরাইলের এমন হুমকিকে তোয়াক্কা করছেন না অনেকে বরং শহিদী মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, শহরের দুটি প্রধান হাসপাতাল খালি করা হবে না। চিকিৎসকেরা রোগীদের ফেলে রেখে কোথাও যাবেন না।
গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে চৌষট্টি হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন দেড় লাখের বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ। আর যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।