যুদ্ধ বন্ধে পুতিনকে রাজি করাতে ব্যর্থ হচ্ছেন ট্রাম্প, প্রস্তাব না মানায় বৈঠক অনিশ্চিত

ভলোদিমির জেলেনস্কি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাজি করাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রস্তাব না মানায় হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনাও এখন অনিশ্চিত। এ অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধে পুতিনকে কীভাবে বাধ্য করা যায়, তা-নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমনকি রুশ অভিযান বন্ধে মূল চাবিকাঠি ঠিক কীভাবে, কোথায় থেকে উদ্ধার করতে হবে তাও এখন বড় প্রশ্ন।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে বহুবার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরো বিশ্ববাসীর মনে আশার আলো জাগিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা তো দূরের কথা, হোয়াইট হাউসের মসনদে বসার ১০ মাসেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেননি এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

একাধিকবার ফোনালাপ তো বটেই, গেল আগস্টে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকেও সুরাহা করতে পারেননি ট্রাম্প। সবশেষ ইউক্রেনের বর্তমান ফ্রন্টলাইনে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানানোয়; ব্যর্থ বৈঠক করতে চান না বলে হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক পরিকল্পনাটি ট্রাম্প মঙ্গলবার স্থগিত করে দিয়েছেন।

হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর ইউক্রেনে হামলার মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি; বুধবার পারমাণবিক অস্ত্র প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। এতে যুদ্ধ থামার বদলে, ৪২ মাস ধরে চলা যুদ্ধ উত্তেজনার পারদ আরও বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের কোনো আভাস না মেলায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন ইউক্রেনীয়রা।

ইউক্রেনীয় বাসিন্দারা বলেন, রুশ হামলায় প্রতিদিনই আমরা ইউক্রেনীয়রা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছি। আমরা বেসামরিক নাগরিক। এ অবস্থায়ও যুদ্ধ বন্ধে কী কোনো উপায় নেই?

বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেখানে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন; সেখানে যুদ্ধ বন্ধে মূল চাবি আসলে কোথায় আছে তা নিয়ে আবারও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের এই দীর্ঘ যুদ্ধ থামাতে কী কী লাগতে পারে তা নিয়েও ওঠেছে প্রশ্ন। এ অবস্থায় রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে হলে পুতিনের উপর চাপ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া থামছে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ আমাদের সব ইউরোপীয় মিত্রদের উচিত পুতিনের উপর চাপ নিশ্চিত করা।

কিন্তু বাস্তবতা হলো এখন পর্যন্ত পশ্চিমাদের কোনো চাপ বা হুমকিকে পাত্তাই দেননি পুতিন। এমনকি ইউক্রেনকে নিজেদের বলে দাবি করা ছাড়াও পুতিনের চাহিদার ঝুলি বেশ বড়। অর্থাৎ নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী ভূমি দখল শেষ হওয়ার আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পুতিন থামাবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।

তাদের এসব কথার নজিরও রয়েছে। এ যেমন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা পাওয়ার পরও পুতিনের শাসনামলেই ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিলো রাশিয়া।

ইএ