মাদক চোরাচালান ইস্যুতে বেশ কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্র- ভেনেজুয়েলা সম্পর্ক। এরই মধ্যে কয়েক দফায় ভেনেজুয়েলার পতাকাবাহী নৌকায় হামলাও চালায় মার্কিন নৌ বিভাগ। পাশাপাশি কারাকাসের স্থলপথে হামলা চালাতে পুয়ের্তো রিকোতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রতিনিয়ত আধুনিক অস্ত্র মজুদ করছে পেন্টাগন।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে ওয়াশিংটন। এছাড়া, বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ বিভাগ ভেনেজুয়েলার ছয়টি জাহাজ এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর তিন ভাগনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িক পদক্ষেপগুলোর নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটির নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ বলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বারবার দাবি করলেও, উদ্বেগ- উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে কারাকাসবাসী। এরইমধ্যে নিজেদের শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কায় ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল ডি ভেনেজুয়েলার শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হামলার হুমকির মুখেও ক্লাস- পরীক্ষা অব্যাহত থাকলেও, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘মাঝে মাঝে চিন্তায় পড়ে যাই। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই আমাদের ভূখণ্ডে হামলা করে তাহলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে।’
এছাড়া, চলমান উত্তেজনা দেশটির অর্থনীতিকে এরইমধ্যে প্রভাবিত করেছে বলেও মনে করেন অনেকে।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সামুদ্রিক অবরোধের ফলে ভেনেজুয়েলায় গণপরিবহন সংকট দৃশ্যমান। একারণে সঠিক সময়ে ক্লাস- পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারছি না।’
তবে চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক থাকার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব ভেনেজুয়েলার সাধারণ সম্পাদক করিনা আরিস্তিমুনো বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই গুজবের শিকার আমরা। তাই এটি নিয়ে বেশি চিন্তার কারণ নেই। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষানলে দক্ষিণ আমেরিকার তেলসমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলা।





