যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের দারফুরে নতুন করে হামের প্রাদুর্ভাব, আইসোলেশন বেড মাত্র ২৫টি

সুদানে হামের প্রাদুর্ভাব
আফ্রিকা
বিদেশে এখন
0

গৃহযুদ্ধ কবলিত সুদানের দারফুর অঞ্চলে নতুন করে হামের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস জানায়, অঞ্চলটিতে তাদের আইসোলেশন বেড রয়েছে মাত্র ২৫টি। কিন্তু প্রতিদিনই হুঁ হুঁ করে বাড়ছে রোগী। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে হামলার সংখ্যা বাড়ায় এ জটিল পরিস্থিতিতে রোগটি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে মানবিক সংস্থাগুলোকে।

গত অক্টোবরে সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুর অঞ্চল দখলে নেয় দেশটির বিদ্রোহী আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ সদস্যরা। এরপর অঞ্চলটিজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গৃহযুদ্ধে অসংখ্য প্রাণহানি ছাড়াও বাস্ত্যুচ্যুত হয়েছে এল- ফাশের শহরের প্রায়েএক লাখ বাসিন্দা। এর মধ্যে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি মানবিক সংস্থা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ কবলিত সুদানের মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এবার নতুন করে যুদ্ধপীড়িত দারফুর অঞ্চলে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ছোঁয়াচে হামের প্রাদুর্ভাবের খবর জানালো ডক্টরস উইদাউট বডার্স -এমএসএফ। সেপ্টেম্বরের পর থেকে অঞ্চলটিতে নতুন করে প্রায় এক হাজার ৩০০ হামের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এমএসএফ জানায়, চলমান সংঘাত কারণে দারফুরের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ায় রোগটি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। । অঞ্চলটিতে হাম প্রতিরোধের জন্য সংস্থাটির আইসোলেশন রয়েছে মাত্র ২৫টি। কিন্তু প্রতিদিনই হুঁ হুঁ করে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা।

আরও পড়ুন:

শুধু হাম নয়, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ডাইরিয়ার মতো অন্যান্য রোগও ছড়িয়ে পড়েছে দারফুরজুড়ে। কিন্তু এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী নেই সেখানে কাজ করা মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে। কেননা সাম্প্রতিক সংঘাতে সুদানের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতেও ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, দেশটি চলমান গৃহযুদ্ধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সংঘটিত হামলায় প্রাণহানি প্রায় দুই হাজার।

এছাড়া এমএসএফের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরও নিপীড়ন চালাচ্ছে আরএসএফ সদস্যরা। দারফুরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এমএসফের ৭৩ স্বাস্থ্যকর্মীকে আটক করে তারা। এছাড়া, আরএসএফ বাহিনীর বিধিনিষেধের কারণে অঞ্চলটিতে হামসহ অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে ব্যর্থ হচ্ছে সংস্থাটি।

গেল প্রায় ছয় বছরে সুদানের এক লাখ ৭৯ হাজার শিশুকে হাম প্রতিরোধী টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় ডক্টরস উইদাউট বডার্স। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসএস