আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে চলছে অভিযান

দুর্ঘটনায় কবলিত বিমান
এশিয়া
বিদেশে এখন
0

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জনে। দ্বিতীয় ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে চলছে অভিযান। ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফরেনসিক টিম। নিহত সকলের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় এখনও আরোহীদের জীবিত থাকার অপেক্ষায় দিন পার করছেন স্বজনেরা।

আহমেদাবাদ সিভিল হসপিটালে তন্নতন্ন করে ভাইকে খুঁজছে ইমতিয়াজ। ডিএনএ স্যাম্পল দেয়ার পরও মিলেনি ভাইয়ের সন্ধান। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ এর ২৪২ আরোহীর মধ্যে ছিল ইমতিয়াজের ভাই-ভাবি ও তাদের দুই সন্তান। উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ ২৪১ আরোহীর মৃত্যু নিশ্চিত করলেও এখনও স্বজনদের জীবিত পাওয়ার আশায় দিন পার করছেন ইমতিয়াজ।

তিনি বলেন, ‘শেষ বিকল্প হিসেবে ওদের কথা মেনে নিতে হবে। ডিএনএ চেক করবো। তারপরেও আশা করছি ইতিবাচক সংবাদ পাবো। আল্লাহ চাইলে সবকিছু সম্ভব।’

ভারতের ইতিহাসের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পেরিয়েছে দুই দিন। এখনও দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফরেনসিক টিম। আজ (শনিবার, ১৪ জুন) কাজে যোগ দিয়েছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো। এরইমধ্যে মেডিকেল হোস্টেলের ছাদে মিলেছে একটি ব্ল্যাক বক্স। আরেকটির সন্ধানে চলছে উদ্ধারকাজ।

এদিকে শনিবারই বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি উদ্ধারকৃত প্রমাণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিজে মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছেড়ে গেছেন হোস্টেল প্রাঙ্গণ। এসময় আহতদের সঙ্গে ছিলেন তাদের স্বজনরা। পুরো প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য হাই সিকিউরিটির ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।

এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেশ কিছু তত্ত্ব। ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরির সাবেক উপ মহাপরিচালকের দাবি, জ্বালানি দূষণের কারণে ঘটতে পারে এই দুর্ঘটনা। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উড্ডয়নের আগে ফ্ল্যাপের অবস্থান ঠিক ছিল না। এছাড়াও পাখির আঘাত, দুই ইঞ্জিন বিকল ও ল্যান্ডিং গিয়ারের অবস্থান নিয়েও রয়েছে সংশয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার গুজরাটের রাজকোটে বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এসএস