ভারতে বেড়েছে বন্যা, কমেছে পাকিস্তানে

পাকিস্তানের বন্যা
এশিয়া
বিদেশে এখন
0

টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে ভারতের রাজধানী দিল্লির রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে পানি ঢুকেছে বাসাবাড়িতে। জলাবদ্ধতায় সড়কে দেখা দিয়েছে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে রাভি, শতদ্রু ও সিন্ধু নদীর পানি বেড়ে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শিয়ালকোট শহরের জনজীবন।

রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির রাস্তাঘাট। পানি ঢুকেছে বাসাবাড়িতে। বেশকিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি ও বন্যায় নাকাল দিল্লির জনজীবন। কয়েকটি সড়কে জমেছে হাঁটু সমান পানি। দিল্লি-জয়পুর মহাসড়কে তৈরি হয়েছে আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। বৈরি আবহাওয়ায় বিলম্ব ও বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট।

টানা দুই দিনের প্রবল বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। পানির চাপ বাড়ায় খুলে দেয়া হয় বেশ কয়েকটি জলকপাট।বন্যা কবলিত এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে দিল্লির পুরনো রেলওয়ে সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শহরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বন্যা মোকাবিলা বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।

আরও পড়ুন:

এদিকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের হাফিজাবাদ ও শিয়ালকোট শহরের বাসিন্দারা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরছেন তারা। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে শিয়ালকোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

তবে রাভি, শতদ্রু ও সিন্ধু নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় পাঞ্জাবসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে যেতে পারে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল।

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। প্লাবিত হয়েছে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয় সাড়ে চার লাখ গবাদিপশুসহ ছয় লাখ মানুষকে। বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি।

এসএস