প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে পায়েটোংটার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে। এর প্রেক্ষিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে নির্বাচিত করলো পার্লামেন্ট।
সীমান্ত সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কম্বোডিয়ার হুন সেনের মধ্যে একটি ফোন কল ফাঁস হওয়ার পর জুন মাসে আনুতিন জোট থেকে সরে আসেন। পায়েটোংটার্নকে পদ থেকে অপসারণের মামলায় এ ফোন কলই ছিল মূল প্রমাণ।
এদিকে দেশটির বিরোধী দল পিপলস পার্টি জানায়, আগামী চার মাসের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তারা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করবে। তবে দলটি সরকারে যোগ দেবে না।
অন্যদিকে অনুতিন জানান, ১৪৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত আরও সাতটি দল এবং গোষ্ঠীর সমর্থন তার রয়েছে। পিপলস পার্টির ১৪৩টি আসনের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার ২৮৯ জন সদস্যের সমর্থন থাকবে, যা ২৪৭টি ভোটের চেয়ে বেশি।
২০০৪ সালে থাকসিনের অধীনে উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসার আগে অনুতিন চার্নভিরাকুল কিছুদিনের জন্য উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে থাই রাক থাই ভেঙে যাওয়ার পর পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হন।