কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানাল জানান, সমাবেশ চলাকালীন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হন। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতেও দুইজন নিহত হয়েছে।
তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলমান এ বিক্ষোভ সমাবেশের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন শহরে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে।
আজ (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারিসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। পুলিশ জানায়, কারফিউ ঘোষণার পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি।
আরও পড়ুন:
কাঠমান্ডুর তিনটি পৃথক হাসপাতালে এখনও একশ জনেরও বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। কাঠমান্ডুর জাতীয় ট্রমা সেন্টারে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালটির এক চিকিৎসক জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগকে সিভিল সার্ভিস (সিভিল) হাসপাতাল এবং বীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে সিনামঙ্গলের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের একটি সূত্রের বরাতে বিবিসির নেপাল সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।—বিবিসি