সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে লোহিত সাগরের তীরঘেষা গুরুত্বপূর্ণ শহর জেদ্দা। মক্কা প্রদেশের সর্ববৃহৎ ও সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহর দেশটির অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
কালের বিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও জেদ্দার আল বালাদ শহর বহন করছে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের স্থাপনা ও ঐতিহ্য। রয়েছে ১৯২০ সালে বাদশা আব্দুল আজিজ এর প্রতিষ্ঠা করা নাসিফ হাউস, মাটি, পাথর ও কাঠের নান্দনিক সব স্থাপনা।
আল বালাদ শহরে বেদুইন মার্কেটে দেখা মিলবে পুরনো সব তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, খাবার ও পোশাক। সৌদি আরবের ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে প্রতিবছর হজ মৌসুমে জেদ্দার এই শহরে আসেন হাজিরা। তাদের পাশাপাশি ভিড় জমান বিভিন্ন দেশের পর্যটকরাও।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলছে। সৌদি আরব এখন পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত। সৌদি আরবে অনেক ভিন্ন ভিন্ন স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে।’
পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি দুই দিন সৌদি আরবে কাটিয়েছি, আজ আমরা পুরানো শহরে এসেছি। শহরটি উষ্ণ এবং মাটির ভবনের কারণে খুব সুন্দর লাগছে। আমরা শহরের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, আমাদের এখনও অনেক কিছু দেখার আছে। তবে এটি সত্যিই খুব সুন্দর।’
গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থাকা সত্ত্বেও পর্যটক এবং দর্শনার্থীরা প্রচুর সংখ্যায় আল-বালাদে আসছেন। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আল-বালাদ এখন ব্যাপক উন্নয়নের দিকে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটি ব্যাপক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলছে।
২০১৪ সালে আল-বালাদ শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো। এরপর থেকে শহরটির প্রায় ৬৫০টি ভবন পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করছে সৌদি সরকার।