ইরান-ইসরাইল সংঘাতের রেশ ছুঁয়ে গেছে রাশিয়াকেও। বেশ কয়েকবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও তেল আবিবের অনীহার কারণে এগোতে পারছে না মস্কো। তবে বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া এই সংঘাতে তেহরানের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রেমলিন।
আজ (বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এসময় পুতিন জানান, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নানা সংকট সত্ত্বেও ইরানের সাধারণ জনগণ তাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তাই তেহরানে ক্ষমতার পরিবর্তনের বিষয়ে মস্কোর সমর্থন না থাকার ইঙ্গিত দেন তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো মিশনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ প্রধান বিষয়। ইরানের জনগণ তাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। নানা সংকটের মাঝেও তারা প্রশাসনের পাশে রয়েছে।’
আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তেহরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংসে তেল আবিব ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জানান, শত্রুতা বন্ধ করে দুইপক্ষকেই সংঘাত নিরসনে আলোচনায় বসা উচিত।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইসরাইলের হামলায় ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্রগুলোর কোনো ক্ষতিই হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শত্রুতা বন্ধ করে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। যেখানে ইরান নিজেদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। অন্যদিকে ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।’
ইরানকে সমর্থনের প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, প্রতিদিনই পেজেশকিয়ান প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সংঘাতের মধ্যেও দেশটির বুশেহর পরমাণু কেন্দ্রে এখনো ৬০০ বিশেষজ্ঞ অবস্থান করছেন। যা তেহরানের জন্য মস্কোর বড় সমর্থন। তবে ইরান এখন পর্যন্ত অস্ত্র কিংবা অন্য কোনো ধরনের সহায়তা চায়নি বলে দাবি করেন পুতিন।